প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্সের সম্পদ পুনর্মূল্যায়িত

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর গুলশান--এর রোড নং ৩৫, প্লট নং ২৩- অবস্থিত নিজেদের ১১ দশমিক ৮০ শতাংশ জমির পুনর্মূল্যায়ন অনুমোদন করেছে প্যারামাউন্ট

ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ। নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান এবি সাহা অ্যান্ড কোম্পানি চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস পুনর্মূল্যায়ন করেছে।

৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০১৮ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটির কস্ট ভ্যালু ছিল কোটি ৪০ লাখ হাজার ৩৪৭ টাকা। এছাড়া মূল্যায়ন প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটির বাজারমূল্য ছিল ৩২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। সম্পদ পুনর্মূল্যায়নের পর কোম্পানিটির মোট উদ্বৃত্তের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৬ কোটি লাখ ৯৬ হাজার ৬৫৩ টাকা।

৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০১৮ হিসাব বছরের জন্য শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছে নন-লাইফ বীমা কোম্পানিটি। সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫৫ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়ায় ১৩ টাকা ৬৯ পয়সা। ২০১৭ হিসাব বছরে ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দেয় প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স। সে বছর কোম্পানিটির ইপিএস ছিল টাকা ৪৩ পয়সা।

এদিকে সর্বশেষ অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে টাকা পয়সা, যা আগের হিসাব বছরের একই সময়ে ছিল ৬৬ পয়সা। তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ইপিএস হয়েছে ১৮ পয়সা, যা আগের হিসাব বছরের একই সময়ে ছিল ৩১ পয়সা। ৩০ সেপ্টেম্বর কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ৮২ পয়সা।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স শেয়ারের সর্বশেষ দর ছিল ৩৮ টাকা ৯০ পয়সা। সমাপনী দর ছিল ৩৯ টাকা ১০ পয়সা। গত এক বছরে শেয়ারটির সর্বনিম্ন সর্বোচ্চ দর ছিল যথাক্রমে ১৩ টাকা ৪২ টাকা ৫০ পয়সা।

সর্বশেষ সার্ভিল্যান্স রেটিংয়ে কোম্পানিটির অবস্থান দীর্ঘমেয়াদে প্লাস স্বল্পমেয়াদেএসটি-টু ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন হালনাগাদ প্রাসঙ্গিক অন্যান্য তথ্যের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করেছে ইমার্জিং ক্রেডিট রেটিং লিমিটেড (ইসিআরএল)

২০০৭ সালে শেয়ারবাজারে আসা প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্সের অনুমোদিত মূলধন ৬০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ৩৩ কোটি ২২ লাখ ৩০ হাজার টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা কোটি ৩২ লাখ ২৩ হাজার ১২। এর মধ্যে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের কাছে ৪২ দশমিক ৭৮ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৫ দশমিক শূন্য সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে বাকি ৪২ দশমিক ১৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

সর্বশেষ নিরীক্ষিত ইপিএস বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য-আয় (পিই) অনুপাত ৭৫ দশমিক ১৯, হালনাগাদ অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে যা ২৭ দশমিক ৯৩।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন