টিউশনির টাকা পুঁজি করে আতিকুর এখন সফল খামারি

মাশরেকুল আলম, জয়পুরহাট

প্রকৌশল বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন রাজশাহী প্রকৌশল প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রুয়েট) ২০১৪ সালে ইলেকট্রিক্যাল ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে বিএসসি শেষ করে বেশ কিছুদিন চাকরির পেছনেও ছুটেছেন। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত চাকরি না মেলায় নেমে পড়লেন উদ্যোক্তা হওয়ার মিশনে। বেছে নিলেন হাঁস-মুরগি, গবাদি পশু পালন মাছ চাষকে। মাত্র সাড়ে চার বছরের মাথায় সফলতা পেয়েছেন তিনি। সরকারি পর্যায়ে স্বীকৃতি পেয়েছেন জেলা পর্যায়ের সফল উদ্যোক্তা হিসেবে। এসব খামার থেকেই এখন প্রতি মাসে ১০ লাখের বেশি টাকা আয় করছেন তিনি।

সফল উদ্যোক্তার নাম আতিকুর রহমান। জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার বাদাউচ্চ গ্রামের কৃষক পরিবারের সন্তান তিনি। আর দশজনের মতো প্রকৌশল বিষয়ে পড়াশোনা করে ভালো চাকরি এবং দেশের বাইরে যাওয়ার ইচ্ছাও ছিল। কিন্তু এসবের পাশাপাশি কৃষিও তাকে বেশ টানত। যে কারণে এইচএসসি পরীক্ষার পর মাছ চাষের ওপর সাতদিনের একটি প্রশিক্ষণ নেন এবং নিজেদের পরিত্যক্ত একটি পুকুরে মাছ চাষ শুরু করেন। পরবর্তী সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পরও সার্বক্ষণিক দেখাশোনার জন্য একজন লোক রেখে এবং বাবার সহায়তায় মাছ চাষ অব্যাহত রাখেন। বিএসসি শেষ করে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে চাকরির চেষ্টায় ঘুরে অনেকটা হতাশ হয়ে পুরোদমে নেমে পড়লেন কৃষিতে।

বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাকালীন টিউশনির জমাকৃত লাখ ৩০ হাজার টাকা দিয়ে প্রথমে চার-পাঁচটি গাভী নিয়ে গবাদি পশুর খামার গড়ে তোলেন আতিকুর। সময় যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে গবাদি পশু, হাঁস-মুরগি পালনসহ ছয়টি বিষয়ে প্রশিক্ষণ নেন। এরপর জেলার ক্ষেতলাল উপজেলার পাঠানপাড়া করিমপুরে দুটি মুরগির খামার ভাড়া নিয়ে গড়ে তোলেনতাহেরা মজিদ মাল্টিপারপাস এগ্রো লিমিটেডনামে একটি সমন্বিত ফার্ম। গবাদি পশু পালন মাছ চাষের পাশাপাশি ফেন্সিজাতের মুরগি টার্কি, তিতির, কেদারনাথ কোয়েল পাখির চাষ করে লাভবান হতে থাকেন। শুরু করেন টার্কির বাচ্চা উৎপাদনের কাজও। সে সময় প্রতিটি টার্কির ডিম ২০০ একদিনের বাচ্চা ৫০০-৬০০ টাকায় বিক্রি করেন। এর মাধ্যমে এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলতে সক্ষম হন তিনি।

নিজের সফলতাকে আরো সামনে এগিয়ে নিতে আবারো জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর হতে তিন মাস মেয়াদি সমন্বিত ট্রেডে (গবাদি পশু, হাঁসমুরগি পালন, মত্স্য চাষ, প্রাথমিক চিকিৎসা, কৃষিবিষয়ক প্রশিক্ষণ যুব কার্যক্রম) গ্রহণ করে বড় পরিসরে ব্যবসা শুরু করেন আতিকুর। ব্যাংক হতে ঋণ নিয়ে এবং ব্যবসার লাভের টাকা দিয়ে সোনালী ব্রয়লার মুরগি এবং মাছ চাষকে সম্প্রসারণ শুরু করেন। এভাবে দিন দিন ব্যবসা বড় হতে থাকায় ২০১৭ সালেমন্ডল হ্যাচারি অ্যান্ড চিকসপ্রতিষ্ঠা করেন। হ্যাচারি থেকে প্রতি মাসে প্রায় লাখ ২০ হাজার সোনালি মুরগির বাচ্চা উৎপাদন করা হয়।

বর্তমানে তার মুরগির খামারের এক লাখ সোনালি মাংসের মুরগি, ১০ হাজার সোনালি ডিম উৎপাদনের মুরগি, ৩০ হাজার ব্রয়লার মুরগি ছয়টি পুকুরে প্রায় ১০ হাজার মণের অধিক রুই, কাতলা, পাঙ্গাশ, তেলাপিয়া মাছ রয়েছে। সব মিলিয়ে তার মূলধন এখন প??

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন