নিরাপদ খাদ্য

ব্যবসায়ীদের অতি মুনাফার মানসিকতা নিয়ন্ত্রণে আনুন

নিরাপদ খাদ্য একটি কৌশলগত ব্যবস্থাপনা। এর সঙ্গে অনেক বিষয় জড়িত। আমাদের শরীরে ৩৩ শতাংশ রোগ হওয়ার পেছনে রয়েছে ভেজাল খাদ্য। পাঁচ বছরের নিচে শিশুর ৪০ ভাগ রোগ হয় দূষিত খাদ্য থেকে। খাদ্য উৎপাদন থেকে শুরু করে খাবার টেবিলে আসা পর্যন্ত নানা পর্যায়ে দূষিত হয়। এর মূল কারণ অসচেতনতা। সম্প্রতি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় খাদ্যমন্ত্রী বলেছেন, ব্যবসায়ীদের অতি লোভ নিরাপদ খাদ্য নিশ্চয়তায় বাধা। তিনি আরো বলেছেন, ব্যবসায়িক অতি লোভ ত্যাগ করতে না পারলে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা অনেকটাই কঠিন হবে। খাদ্যের গুণগত মান পরীক্ষার জন্য সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি ব্যক্তিগতভাবে আরো সক্রিয় হওয়া প্রয়োজন। পরীক্ষাগারগুলো সঠিকভাবে ব্যবহার করতে হবে। কাঁচাবাজারগুলো অস্বাস্থ্যকরভাবে পরিচালিত হচ্ছে এবং সহজেই দূষিত হচ্ছে খাদ্যদ্রব্য। আবার অনেকের অজ্ঞতার কারণেও খাদ্যে জীবাণু সংক্রমিত হচ্ছে। এজন্য সচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে নিরাপদ খাদ্য সম্পর্কে শিক্ষা প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। সচেতনতার মাধ্যমে নিরাপদ খাদ্যের ব্যাপক চাহিদা সৃষ্টি করতে হবে। সর্বোপরি নিরাপদ খাদ্যের বিষয়টিকে একটি সামাজিক আন্দোলনে রূপ দিতে হবে।

কৃষক বাজারজাত করার সময় খাদ্য দূষিত করে, ক্রেতা ভালো পণ্যের সঙ্গে ভেজাল পণ্যের মিশ্রণ ঘটিয়ে খাদ্যের দূষণ ঘটায়। দূষণ রোধে সচেতনতা বাড়ানো প্রয়োজন। উৎপাদনের পরিবেশ খাদ্যের মানকে প্রভাবিত করে। বাজারের তাজা মাছ কোন পরিবেশে বড় হয়েছে, সেটি কিন্তু মাছের গুণগত মান নির্ধারণে ভূমিকা রাখে। মাছকে যে খাবার দেয়া হয়, তা থেকেও মানুষের শরীরে জীবাণু প্রবেশ করতে পারে। এজন্য উৎপাদনের পরিবেশকে স্বাস্থ্যকর করতে হবে। নতুবা ক্ষতির আশঙ্কা থেকে যাবে। ব্যাপারে বিভিন্ন ধরনের গবেষণা করতে হবে। গবেষণার ফলের ভিত্তিতে করণীয় ঠিক করে ব্যাপক প্রচারণার মাধ্যমে সবাইকে সচেতন করতে হবে। কোনো খাদ্যকে বিশুদ্ধ ঘোষণার সঙ্গে তথ্যসূত্র উল্লেখ করতে হবে। শুধু আইন প্রণয়ন করলেই হবে না, তার কার্যকর প্রয়োগও ঘটাতে হবে। নতুন আইন প্রয়োজন হলে সবকিছু বিবেচনা করে তা প্রণয়ন করতে হবে। বিষয়টি কার্যকর করতে হবে। কৃষককে আইন সম্পর্কে সচেতন করতে হবে।

গবেষণায় দেখা গেছে, বছরে প্রায় ৬০ কোটি মানুষ অনিরাপদ খাদ্য থেকে সৃষ্ট নানা সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছে এবং তার মধ্যে লাখ ২০ হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করছে। বিশ্বের প্রায় ৭৫ ভাগ মানুষ সুপেয় পানি থেকে বঞ্চিত। পরিসংখ্যানগুলো আমাদের জন্য উদ্বেগজনক। নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন করতে না পারলে নিরাপদ খাদ্য সরবরাহের কথা চিন্তাও করা যায় না। কৃষিতে ঢালাওভাবে রাসায়নিক দ্রব্যের ব্যবহার হচ্ছে। মাংস উৎপাদনে অসচেতনভাবে ভেটেরিনারি ডোজ ব্যবহার করা হচ্ছে, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। কর্তৃপক্ষকে বাজারে খাদ্যনিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। সম্প্রতি প্রচারমাধ্যমে খাদ্য উৎপাদন, প্রক্রিয়াকরণ বিপণন জগতে ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ মিশিয়ে মানুষের নিরাপদ খাবার যে দূষিত করার প্রবণতা ব্যাপক হারে বেড়েছে তা বিশেষভাবে লক্ষণীয়। সেই সঙ্গে অননুমোদিত বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানি যেসব ওষুধ তৈরি বাজারজাত করছে, সেসব ওষুধের গুণগত মান নিয়েও নানা প্রশ্ন বিদ্যমান।

জনস্বাস্থ্য রক্ষায় ক্রমবৃদ্ধিপ্রাপ্ত এসব অসুখের প্রাদুর্ভাব ব্যাপক হারে বাড়ার কারণে ব্যক্তির নিজস্ব ব্যয় বৃদ্ধির

");

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন