খবর

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট অডিটোরিয়ামে জেনারেশন ব্রেকথ্রু প্রকল্পের সমাপনী অনুষ্ঠান ‘লার্নিং শেয়ারিং এক্সিবিশন গতকাল অনুষ্ঠিত হয়। জেনারেশন ব্রেকথ্রু প্রকল্পের অর্জন, শিখন এবং সফলতা তুলে ধরার জন্য প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ ও ইউনাইটেড নেশনস পপুলেশন ফান্ড (ইউএনএফপিএ) যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. সামসুল হক টুকু, এমপি, চেয়ারম্যান, শিশু অধিকার সম্পর্কিত সংসদীয় ককাস, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ। অন্য অতিথিদের মধ্যে ছিলেন প্রফেসর ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক, মহাপরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর; মোহাম্মদ মশিউজ্জামান, সদস্য জাতীয় পাঠ্যক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড; মুশফিকা জামান সাতিয়ার, সিনিয়র পলিসি অ্যাডভাইজর, এসআরএইসআর, অ্যাম্বাসি অব নেদারল্যান্ডস; এইকো নারিটা, অফিসার-ইন-চার্জ, ইউএনএফপিএ এবং মুরশিদ আক্তার, হেড অব এডুকেশন প্রোগ্রাম, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সামসুল হক টুকু বলেন, জেনারেশন ব্রেকথ্রু প্রকল্পটি একটি সময়োপযোগী পদক্ষেপ। শিশুদের জন্য লিঙ্গভিত্তিক বৈষম্য এবং যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ক নানা শিক্ষা প্রদানের ক্ষেত্রে প্রকল্পটি যথার্থ ভূমিকা পালন করেছে। সরকার শিশুদের যথাযথ বিকাশ ও শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি একটি শিশু শুধু একটি পরিবারের দায়িত্ব না; প্রতিটি শিশু একটি রাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ। এই শিশুদের মেধা বিকাশ, তাদের শারীরিক ও মানসিক সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে না পারলে দেশ এগোতে পারবে না। শিশুদের এগিয়ে যাওয়ার এই পথ সুগম করতে বাংলাদেশ সরকার সবসময় ভালো উদ্যোগের সঙ্গে আছে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক দেশের ২০ হাজার স্কুল ও মাদ্রাসার শিক্ষা কার্যক্রমে লিঙ্গভিত্তিক বৈষম্য এবং যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ক শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে সরকারের পরিকল্পনার কথা জানান।

অনুষ্ঠানে জেনারেশন ব্রেকথ্রু প্রকল্পের মূল্যায়ন রিপোর্টের বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরা হয়। সেই সঙ্গে জেনারেশন ব্রেকথ্রু প্রকল্পের উল্লেখযোগ্য কার্যক্রম যেমন— কম্পিউটার গেমস ও বোর্ড গেমস ব্যবহার করে ১০-১৯ বছরের কিশোর-কিশোরীদের লিঙ্গভিত্তিক বৈষম্য এবং যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ক শিক্ষা প্রদান, বোর্ড গেম, বিদ্যালয়ে এবং মাদ্রাসাভিত্তিক কিশোর-কিশোরী ক্লাব ও জিইএমএস শ্রেণিকক্ষ ইত্যাদি নানা প্রদর্শনীর মাধ্যমে তুলে ধরা হয়। এছাড়া ছাত্রছাত্রীদের লেখা রচনা নিয়ে তৈরি কমিক বই ‘চলো বদলাই’-এর মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যৌথভাবে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ ছয় বছর (২০১৩-১৯) ধরে ইউনাইটেড নেশনস পপুলেশন ফান্ডের (ইউএনএফপিএ) মাধ্যমে রাজকীয় নেদারল্যান্ডস সরকারের অর্থায়নে ‘জেনারেশন ব্রেকথ্রু’ প্রকল্প পরিচালনা করছে। ঢাকা, বরিশাল, পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলার ৩০০টি বিদ্যালয়ে ও ৫০টি মাদ্রাসায় ‘জেনারেশন ব্রেকথ্রু’ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। বিদ্যালয় ও মাদ্রাসায় বিভিন্ন শিক্ষামূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে কিশোর-কিশোরীদের প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা অধিকার, লিঙ্গবিষয়ক সহিংসতা এবং লিঙ্গসমতা বিষয়ক শিক্ষা প্রদান করা হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে প্রকল্পের আওতায় জেন্ডার ইকুটিবল মুভমেন্ট ইন স্কুল (জিইএমএস) ম্যানুয়ালটি জাতীয় পাঠ্যক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের অনুমোদনক্রমে ৩০০টি