গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা

জাহাজ ভাঙা শিল্পের বড় চ্যালেঞ্জ পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের জাহাজ ভাঙা শিল্পের বিদ্যমান পরিস্থিতিতে পেশাগত স্বাস্থ্য নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। গতকাল এক গোলটেবিল বৈঠকে মত প্রকাশ করেন সংশ্লিষ্টরা।

গতকাল বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের (বিলস) উদ্যোগেজাহাজ ভাঙা শিল্পে শোভন কাজ: পক্ষসমূহের করণীয়শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করা হয়। ডেইলি স্টার সেন্টার ঢাকায় অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বিলস উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য শাহ মোহা. আবু জাফর। বিলস সম্পাদক আবুল কালাম আজাদের সঞ্চালনায় গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথি ছিলেন কলকারখানা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক শিবনাথ রায়।

বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মিজানুর রহমান, শ্রম কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপসচিব শাহীন আখতার, শ্রম অধিদপ্তরের উপপরিচালক হাফিজ আহমেদ মজুমদার, কলকারখানা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর চট্টগ্রামের উপপরিদর্শক মো. আল আমিন, বাংলাদেশ মেটাল ফেডারেশনের সভাপতি এএম নাজিমউদ্দিন, জাহাজ ভাঙা শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন ফোরামের আহ্বায়ক তপন দত্ত, যুগ্ম আহ্বায়ক মু. সফর আলী, সদস্য সচিব আনোয়ার হোসেন, শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের (স্কপ) প্রতিনিধি চৌধুরী আশিকুল আলম, আইএলও প্রতিনিধি সাহাবুদ্দীন আহমেদ, বাংলাদেশ মেটাল লীগের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ বাদল প্রমুখ। এছাড়া জাতীয় ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশন, মানবাধিকার সংগঠন, সংশ্লিষ্ট সরকারি পক্ষ, আইনজীবী বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিরা গোলটেবিল আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে বক্তারা বলেন, বিদ্যমান পরিস্থিতিতে জাহাজ ভাঙা শিল্পে পেশাগত স্বাস্থ্য নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। তারা অভিযোগ করেন শিল্পে উচ্চ আদালতের নির্দেশ মানা হচ্ছে না। জাহাজ ভাঙা শ্রমিকদের নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে তারা বলেন, প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ না থাকার কারণে জাহাজ ভাঙা শিল্পে নিয়মিত দুর্ঘটনায় শ্রমিকদের মৃত্যু হচ্ছে। অসহায় হচ্ছে তাদের পরিবার। এছাড়া জাহাজ ভাঙা শিল্প শ্রমিকদের নিয়োগ এবং পরিচয়পত্র প্রদান, শ্রম আইন সংশোধন করে ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার কার্যকর করা, সরকার ঘোষিত নিম্নতম মজুরি বাস্তবায়ন করা, কলকারখানা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর কর্তৃক নিয়মিত ইয়ার্ড পরিদর্শন করার দাবি জানান তারা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিবনাথ রায় বলেন, জাহাজ ভাঙা শিল্পের উন্নয়নে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। কলকারখানা পরিদর্শন অধিদপ্তরের জনবল সংকটের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এত কম জনবল দিয়ে সব কারখানা পরিদর্শন করা সম্ভব হয় না। যার কারণে শ্রম আইনের সঠিক বাস্তবায়ন হচ্ছে না। জাহাজ ভাঙা শিল্পে যেসব সরকারি সংস্থা কাজ করে, তাদের সমন্বিতভাবে কাজ না করার ফলে এর সুফল শ্রমিকরা পাচ্ছেন না। গার্মেন্টসের মতো অন্যান্য খাতেও শ্রমিকদের নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন