আগামী বছর জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির পূর্বাভাস

বণিক বার্তা ডেস্ক

জ্বালানি তেলের বাজার চাঙ্গা করতে আগামী বছর থেকে সরবরাহ আরো কমিয়ে দিতে যাচ্ছে রফতানিকারক দেশগুলোর সংগঠন ওপেক ওপেক-বহির্ভূত দেশগুলো মিলে গঠিত জোট ওপেক প্লাস। এর বিপরীতে সময়ে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের চাহিদাও বাড়বে। ফলে সরবরাহ সংকটে আগামী বছর জ্বালানি তেলের দাম বাড়তে পারে বলে মনে করছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বহুজাতিক বিনিয়োগকারী ব্যাংক জেপি মরগান। ব্যাংকটির সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে তথ্য জানানো হয়েছে। খবর অয়েলপ্রাইস ডটকম।

জেপি মরগানের প্রাক্কলন অনুযায়ী, আগামী বছরে বেন্ট ক্রুডের দাম ব্যারেলপ্রতি ৬৪ ডলার ৫০ সেন্ট হবে। যেখানে আগের প্রাক্কলনে দাম ধরা হয়েছিল ব্যারেলপ্রতি ৫৯ ডলার। তবে ২০২১ সালে জ্বালানি তেলের দাম কমে ব্যারেলপ্রতি ৬১ ডলার ৫০ সেন্টে নেমে আসতে পারে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের বাজার আদর্শ ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের দাম আগামী বছর ব্যারেলপ্রতি ৬০ ডলারে থাকবে বলে মনে করছে প্রতিষ্ঠানটি।

আগের প্রাক্কলনের সম্পূর্ণ বিপরীতে গিয়ে ব্যাংকটি এবার বলছে, আগামী বছর জ্বালানি তেল উদ্বৃত্তের পরিবর্তে সরবরাহ ঘাটতি থাকবে। সময় আন্তর্জাতিক বাজারে দৈনিক দুই লাখ ব্যারেল জ্বালানি তেলের ঘাটতি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদিও সেপ্টেম্বরে প্রতিষ্ঠানটি তাদের প্রাক্কলনে জানিয়েছিল, ওপেক প্লাস জোটের বাইরের দেশগুলোর সরবরাহ বৃদ্ধির ফলে আগামী বছর থেকে দৈনিক ছয় লাখ ব্যারেল জ্বালানি তেল উদ্বৃত্ত থাকবে। এছাড়া আগামী বছর জ্বালানি তেলের চাহিদা দৈনিক ১০ লাখ ব্যারেল বাড়বে বলেও জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

আগামী বছর জ্বালানি তেলের বাজার চাঙ্গা হওয়ার একই রকম তথ্য দিচ্ছে আরেক মার্কিন ব্যাংক বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান গোল্ডম্যান স্যাকস। প্রতিষ্ঠানটির প্রাক্কলন অনুযায়ী, আগামী বছর ব্রেন্ট ক্রুডের গড় দাম ব্যারেলপ্রতি ৬৩ ডলারে থাকবে। আর ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের গড় দাম ব্যারেলপ্রতি ৫৮ ডলার ৫০ সেন্টে থাকবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন