পাম অয়েলের দাম টনপ্রতি ৩ হাজার রিঙ্গিত হতে পারে

বণিক বার্তা ডেস্ক

কয়েক মাস ধরে বুরসা মালয়েশিয়া ডেরিভেটিভস (বিএমডি) বেঞ্চমার্কে অপরিশোধিত পাম অয়েলের (সিপিও) দাম ঊর্ধ্বমুখী। শীর্ষ উৎপাদক দেশগুলোর উৎপাদন কমে যাওয়ার আশঙ্কায় বাজারে চাঙ্গা ভাব এসেছে। একই কারণে আগামী জানুয়ারিতে সিপিওর দাম টনপ্রতি ৩ হাজার রিঙ্গিতে (স্থানীয় মুদ্রা) পৌঁছতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। খবর কোজেন্সিস।

শীত মৌসুমে পাম অয়েলের জমে যাওয়ায় চাহিদা কম থাকে। তবে কোনো কোনো বছর এর ব্যতিক্রমও দেখা যায়। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হতে যাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যে কারণে শীত মৌসুম হওয়ায় উৎপাদন কমে যাওয়ার আশঙ্কায় দাম ঊর্ধ্বমুখী থাকবে। এর আগে সর্বশেষ ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে একই কারণে পাম অয়েলের দাম টনপ্রতি ৩ হাজার রিঙ্গিতে পৌঁছেছিল।

পাম অয়েলের বাজার বিশেষজ্ঞ ও গুজরাটভিত্তিক বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান জিজিএন রিসার্চের ম্যানেজিং পার্টনার গোভিন্দভাই প্যাটেল মনে করেন, পাম অয়েলের উৎপাদন কমে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফলে প্রতি টন সিপিওর দাম ৩ হাজার রিঙ্গিত হতে পারে।

খাতসংশ্লিষ্টরা মনে করেন, ভোজ্যতেলটির দাম যদি ৩ হাজার রিঙ্গিতে পৌঁছায়। তাহলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে ভারত। কারণ দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোয় এরই মধ্যে মুদ্রাস্ফীতি চলছে। এর ওপর পাম অয়েল আমদানি অতিরিক্ত ব্যয় দেশটির ভোগ্যপণ্যের বাজারে বাড়তি চাপ তৈরি করবে।

পাম অয়েলের শীর্ষ আমদানিকারক দেশগুলোর তালিকায় ভারত প্রথম। দেশটি প্রতি বছর প্রায় ৯০ লাখ টন পাম অয়েল আমদানি করে। যার অধিকাংশ আসে মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া থেকে। গত বছর দেশটির ভোজ্যতেলের বাজারে পাম অয়েলের হিস্যা ছিল ৬২ শতাংশ।

বর্তমানে বিএমডিতে আগামী মার্চে সরবরাহ চুক্তিতে প্রতি টন অপরিশোধিত পাম অয়েলের দাম ধরা হচ্ছে ২ হাজার ৯১৫ রিঙ্গিত। যেখানে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতি টনের দাম ছিল ২ হাজার ৯৩০ রিঙ্গিত, যা গত অক্টোবরের থেকে ৩০ শতাংশ বেশি।

এর আগে নভেম্বরে লন্ডনভিত্তিক বাজার বিশেষজ্ঞ দোরাব মিস্ত্রি জানিয়েছিলেন, আগামী বছর মালয়েশিয়ার পাম অয়েলের উৎপাদন এ বছরের তুলনায় কমে ২ কোটি ৩ লাখ টনের নিচে নেমে আসবে। ভোজ্যতেলটির শীর্ষ উৎপাদক দেশ ইন্দোনেশিয়ায় এ সময় উৎপাদন চলতি বছরের তুলনায় ১০ লাখ টন বেড়ে দাঁড়াবে ৪ কোটি ৩০ লাখ টন। তবে শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে আসন্ন দিনগুলোয় ইন্দোনেশিয়ায় পাম অয়েলের উৎপাদন কমে যেতে পারে। এছাড়া বছর শেষে মালয়েশিয়ার পাম অয়েলের মজুদ কমে যাওয়ার সম্ভাবনাও আগামীতে দেশটির পাম অয়েলের বাজার চাঙ্গা করতে সহায়তা করবে বলে মনে করা হচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন