স্যার ফজলে হাসান আবেদের ৮০তম জন্মদিন

নেপথ্যে নায়ক

আবদুল বায়েস

বিশ্বনন্দিত এনজিও ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারপারসন স্যার ফজলে হাসান আবেদ কেসিএমজি। ব্র্যাক পরিবারে তিনি ‘আবেদ ভাই’ হিসেবে পরিচিত। আজ তার ৮০তম জন্মদিনে আমার ও পাঠকের পক্ষ থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা। ফজলে হাসান আবেদ এখন শুধু একজন ব্যক্তি নন, দেশে-বিদেশে একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে সুপরিচিত। বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে দারিদ্র্য বিমোচন তথা দরিদ্রের ক্ষমতায়নে ভূমিকার জন্য ব্রিটিশ রাজতন্ত্র কয়েক বছর আগে মহীয়ান এ মানুষটিকে নাইট উপাধি প্রদান করে। আজ থেকে প্রায় ১০০ বছর পূর্বে (সম্ভবত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাইট প্রাপ্তির দুই বছর আগে) এ পরিবারের অন্য একজনও স্যার উপাধিতে ভূষিত হয়েছিলেন; তার নিকটজনের কেউ আবার অবিভক্ত বাংলার প্রশাসনের প্রভাবশালী পদে আসীন ছিলেন। ১৯৩৬ সালের ২৭ এপ্রিল হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচংয়ে এমন একটা শিক্ষিত, সচ্ছল ও সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন ফজলে হাসান আবেদ। মা সাইয়েদা সুফিয়া খাতুন ও বাবা সিদ্দিক হাসান। তুখোড় ও তীক্ষ বুদ্ধিসম্পন্ন ফজলে হাসান আবেদ পাবনা জিলা স্কুল ও ঢাকা কলেজ থেকে অত্যন্ত কৃতিত্বের সঙ্গে পাস করে মাত্র ১৮ বছর বয়সে উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশ গমন করেন। ১৯৫৪ সালে গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়ে জনপ্রিয় বিষয় ছেড়ে নেভেল আর্কিটেকচারে ভর্তি হয়ে অবাক করেছিলেন। শুনে চোখ যেন যেন চড়কগাছ (এটা আবার কোন বিষয়? যা-ই হোক)।
দুই
পড়াশোনা শেষে বাংলাদেশ তথা তত্কালীন পূর্ব পাকিস্তানে বিশ্ববিখ্যাত বহুজাতিক শেল অয়েল কোম্পানিতে যোগদান করেন। সে সময় বহুজাতিক কোম্পানির চাকরি অনেকের কাছে সোনার হরিণ কিংবা হাতে চাঁদ পাওয়ার মতোই। এ যেন পয়মন্ত জীবনযাপনের নিশ্চিত সুযোগ পাওয়া। আবার খুব অল্প সময়ের মধ্যে সততা, নিষ্ঠা ও একাগ্রতার পুরস্কারস্বরূপ তিনি কোম্পানির হেড অব ফিন্যান্সের পদও জয় করে নিলেন। সব মিলিয়ে সুপ্রসন্ন তার ভাগ্যদেবতা; একদিকে অ্যাডাম স্মিথের ‘অদৃশ্য হাতে’র হাতছানি, অন্যদিকে ক্যারিয়ারের সিঁড়ি বেয়ে উপরে ওঠার সুবর্ণ সুযোগ। স্বাভাবিকভাবেই সবাই ভাবল, ফজলে হাসান আবেদ বুঝিবা শিগগিরই কোম্পানির মস্ত বড় ‘সাহেব’ হতে যাচ্ছেন, পা কি আর মাটিতে পড়বে?
তিন
মানুষের বাইরে থেকে ভেতর চেনা মুশকিল। ভেতর ভেতর ‘সাহেব’ যে বেদনাক্লিষ্ট হয়ে ফুঁসছিলেন, সম্ভবত তার খবর কেউ জানত না বলে ওই রকম ধরণা করা হয়েছিল। এই ফুঁসে ওঠার কারণ হতে পারে পঞ্চাশ ও ষাটের দশকের বৈশ্বিক তথা বাংলাদেশের পরিস্থিতি (অপ্রীতিকর, পাশবিক ও স্বল্পায়ুর সমাজ), যার কিছুটা হলেও প্রতিচ্ছবি সত্যজিত্ রায়ের ‘পথের পাঁচালি’ ও জয়নুলের ‘দুর্ভিক্ষ’ ছবি কিংবা সুকান্তের কবিতা, ‘ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়, পূর্ণিমার চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি’। নিজ বাংলাদেশের (তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তান) অবস্থাও ছিল তথৈবচ। পাকিস্তান নামক রাষ্ট্র কাঠামোয় পশ্চিম পাকিস্তানিদের অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক আগ্রাসনের যাঁতাকলে পিষ্ট। এরই মধ্যে কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দিল সত্তরের ভয়ংকর জলোচ্ছ্বাস ও মুক্তিযুদ্ধে হানাদারদের বর্বরতা। বস্তুত এ দুই ঘটনা ফজলে হাসান আবেদের জীবনকে এমনভাবে নাড়া দিল যে, তিনি বহুজাতিক কোম্পানির তথাকথিত ‘বুর্জোয়া জীবন’ বর্জন করে মানবতার সেবায় ছুটে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন। অনুমান করি, তার করোটিতে খেলেছিল ‘সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই’ কিংবা ‘মানুষ ধর, মানুষ ভজ শোন বলিরে মন আমার’। অন্যদিকে চে গুয়েভারের সেই অমোঘ কথা, A revolution is not an apple that falls when it is ripe. You must make it fall (সম্ভবত তাকে মুক্তিযুদ্ধে যেতে উদ্বুদ্ধ করে)।
চার
সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ শেষে দেশে ফিরে এলেও ফেলে যাওয়া লাল গালিচা চাকরির দিকে ফিরেও তাকাননি। শুধু তা-ই নয়, সিদ্ধান্ত নিলেন তার লন্ডনের ফ্ল্যাটটি বিক্রি করে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের পুনর্গঠনে সাহায্য ও অবহেলিত নির্যাতিত মানুষের পাশে থাকার জন্য তহবিল গড়বেন। যেই কথা সেই কাজ, ফ্ল্যাট বিক্রির অর্থ দিয়ে ১৯৭২ সালে ব্র্যাক প্রতিষ্ঠা করা হলো। বাংলাদেশের অন্যতম অবহেলিত ও দুর্গম শাল্লা অঞ্চলের সবচেয়ে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর রিলিফ ও পুনর্বাসন দিয়ে কাজ শুরু হয়। ডেনমার্কের যুবরাজ ব্যতীত যেমন হেমলেট নাটক কল্পনা করা যায় না, তেমনি শাল্লার প্রসঙ্গ ছাড়া আবেদ ভাই তথা ব্র্যাকের বৃত্তান্ত সম্পন্ন হয় না বলে শাল্লা নিয়ে দু-একটা কথা বলতেই হচ্ছে।
পাঁচ
বাংলাদেশের অত্যন্ত দুর্গম, দারিদ্র্য-পীড়িত এবং নিম্নবর্ণের হিন্দু অধ্যুষিত এলাকা শাল্লা। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আক্রমণের মুখে এরা সবাই ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। ব্র্যাকের সেখানে রিলিফ ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা বিখ্যাত গীতিকার ও গায়ক রাধারমন ও শাহ আবদুল করিমের স্মৃতিবিজড়িত দিরাইয়ে একটা ছোট্ট অফিস খুলে পাঁচজন কর্মচারী নিয়ে ২০০ জেলে পরিবারের ওপর কাজ শুরু হয়। অফিস মানে আজ এখানে তো কাল ওখানে, কখনো পরিত্যক্ত দোকান, গোয়ালঘর কিংবা হাসপাতালের ভাঙাচোরা কক্ষ। কাজের ফাঁকে মাঝে মধ্যে মাচায় শুয়ে পড়া, কাঁচামরিচ ও পেঁয়াজ দিয়ে পান্তাভাত খাওয়া। বহুজাতিক কোম্পানির একসময়ের হেড অব ফিন্যান্স ক্ষেতের আইল ধরে মাইলের পর মাইল হাঁটছেন; ঠোঁটের কোনায় একের পর এক খুব কম দামি চারমিনার বা স্টার সিগারেট যেন তার ভেতরে জ্বলা আগুনের ইঙ্গিতবহ। তবে স্বীকার করতেই হবে শাল্লার অভিজ্ঞতা যে শুধু কষ্টের ছিল তা নয়, ছিল শিক্ষণীয়ও। প্রথম শিক্ষাটি তো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটা উক্তির সঙ্গে যায় বলে মনে হয়; ‘মানুষ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে শিক্ষা নিতে পারে তা এই নয় যে, এ পৃথিবীতে প্রচুর দুঃখ ও বেদনা আছে; শিক্ষা হলো সেই দুঃখকে আনন্দে রূপান্তরিত করা তার পক্ষে সম্ভব।’ দ্বিতীয় শিক্ষা হচ্ছে, দারিদ্র্য শুধু আয় ও কর্মসংস্থানের ব্যাপার নয়, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবায় সুযোগও বড় জিনিস। তৃতীয়, রিলিফ কখনো রক্ষাকবচ হতে পারে না, দরিদ্র্যের টেকসই উন্নতির জন্য আয়বর্ধন জরুরি এবং সবশেষে শাল্লার মতো দুর্গম এলাকায় কোনো কাজে সফল হওয়া মানে বাংলাদেশের যেকোনো এলাকায় সফল হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।
ছয়
হেলেন কেলার বলতেন, প্রায় সবার মধ্যে দৃষ্টি থাকলেও খুব কম লোকের মধ্যে দূরদৃষ্টি থাকে। ফজলে হাসান আবেদ সারা জীবন বাংলাদেশকে নিয়ে স্বপ্ন দেখেছেন; এ দেশের মানুষের অপার সম্ভাবনার ওপর তার দৃঢ় বিশ্বাসে কখনো চির ধরেনি। এরই মধ্যে তিনি ভবিষ্যত্ দ্রষ্টা, দক্ষ ব্যবস্থাপক ও প্রাতিষ্ঠানিক উন্নয়নের সুনিপুণ কারিগর হিসেবে দেশ-বিদেশে প্রচুর খ্যাতি অর্জন করে ফেলেছেন। শাল্লার অভিজ্ঞতা ঝুলিতে ভরে সাড়া বাংলাদেশ এমন চষে বেড়িয়েছেন যে, আজ খুব কম গ্রাম বা জনপদ আছে, যেখানে ব্র্যাকের কোনো-না কোনো সেবা পৌঁছেনি। শত হোঁচটেও তিনি থামেননি, বরং নতুন শক্তিতে এগিয়ে চলেছে সামনে। তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে ব্র্যাক শুধু বাংলাদেশে নয়, সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দারিদ্র্য বিমোচন ও সামাজিক উন্নয়নে অভাবনীয় প্রভাব ফেলেছে। এ প্রসঙ্গে কয়েকটা মাইলফলক তো উল্লেখ করাই যায়। সত্তরের দশকের শেষ দিকে এসে এক চিমটি লবণ, আধা লিটার পানি ও একমুঠো গুড় স্লোগান নিয়ে সাড়া জাগানো ওর্যাল স্যালাইন বিপ্লব; আশির দশকে শিশুর টিকা নিয়ে বিস্তৃত অঞ্চলে কাজ; নব্বই ও পরবর্তী দশকে কৃষি, খাদ্য ও বীজ বিপ্লব যা বিশ্বে চমক সৃষ্টি করেছে; এমনকি বিশ্ব খাদ্য পুরস্কার এনে দিয়েছে। অবহেলিত শিশুদের শিক্ষা, অনেকটা রূপকথার মতো গ্রামীণ স্বাস্থ্যে সম্পৃক্ততা; ২০০০ ও পরবর্তী সময়ে হতদরিদ্র জনগোষ্ঠী ঘিরে যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এছাড়া দরিদ্রের জাত বা ভৌগোলিক কোনো সীমানা নেই, এ আপ্ত কথা মনে রেখে পৃথিবীর অন্যান্য দেশে দারিদ্র্য নিরসনে কাজ করার জন্য ‘ব্র্যাক ইন্টারন্যাশনাল’ প্রতিষ্ঠা করে এশিয়া ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে দারিদ্র্য বিমোচন কার্যক্রম শুরু হয়। মোটকথা, বাংলাদেশসহ পৃথিবীর দেশে খাদ্যনিরাপত্তা, পুষ্টি, ক্ষুদ্র অর্থায়ন, নারীর ক্ষমতায়ন, মা ও শিশুর স্বাস্থ্য, বিশুদ্ধ পানি ও স্বাস্থ্যসম্মত পয়োনিষ্কাশন হেন জায়গা নেই, যেখানে স্যার আবেদের চিন্তাচেতনার রশ্মি পৌঁছেনি। তবে তার চিন্তাচেতনা ছিল বহতা নদীর মতো, কখনো এক জায়গায় থেমে ছিল না। তিনি চিন্তার ওপর পরীক্ষা করেছেন বলে রূপান্তরের নায়ক হয়ে উঠেছেন।
সাত
বিশ্ববিখ্যাত সাহিত্যিক দস্তায়ভস্কি মনে করতেন, মানব অস্তিত্বের গূঢ় রহস্য শুধু বেঁচে থাকার মধ্যে নিহিত নয়; কিছুর জন্য বেঁচে থাকার মধ্যে অস্তিত্ব নিহিত। স্যার আবেদের কাছে এ ‘কিছুর জন্য’ হচ্ছে দরিদ্রের জন্য, ‘হরিজন’দের জন্য এবং মোটা দাগে মানুষের জন্য। তিনি হচ্ছেন বঞ্চিতদের বাতিঘর। দরিদ্রের দিশারী। গরিব সেবার স্বীকৃতিস্বরূপ বিভিন্ন সময় নামিদামি প্রতিষ্ঠান থেকে পুরস্কার পেয়েছেন বাংলাদেশের এ নীরব নায়ক; প্রাপ্ত হয়েছেন টপ গ্রেড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানজনক ডিগ্রি। এই তো সেদিন খাদ্য ও কৃষির নোবেল পুরস্কার হিসেবে গণ্য ২০১৫ বিশ্ব খাদ্য পুরস্কার গ্রহণ করলেন। পুরস্কার দাতা প্রতিষ্ঠান মনে করে, স্যার আবেদ ক্ষুধা ও দারিদ্র্যে অপনোদনে নবধারামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। অথচ তিনি পুরস্কার দরিদ্রকে উত্সর্গ করে বললেন, ‘প্রকৃত নায়ক হচ্ছে দরিদ্র নিজেই বিশেষ করে দারিদ্র্যের কষাঘাতে জর্জরিত দরিদ্র নারী সমাজ, যারা প্রতিদিন ক্ষুধা ও দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত। সারা বিশ্বে আমাদের কর্মকাণ্ড পরিচালিত করতে গিয়ে দেখেছি দেশ ও সংস্কৃতি ভিন্ন হলেও বাস্তবতা, সংগ্রাম, আশা এবং দারিদ্র্যের স্বপ্ন প্রায় এক।’
২০০৪ সালে ইউএনডিপির মানবোন্নয়ন পুরস্কার দেয়ার সময় প্রতিষ্ঠানের প্রধান যা বলেছিলেন, ‘সেটা হচ্ছে, প্রথমে আমরা পুরস্কারটি দিয়েছিলাম ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টকে, যিনি তার দেশে অনেক মানব উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন। দ্বিতীয়বার যখন পুরস্কারের বিভিন্ন দেশের প্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্টের তথ্য ঘাটছিলাম, আমরা লক্ষ করলাম, তাদের তুলনায় ব্র্যাকের ফজলে হাসান আবেদ অনেক বেশি কাজ করেছিলেন। সুতরাং সিদ্ধান্ত নিলাম পুরস্কারটি দেশের প্রেসিডেন্টকে না দিয়ে মানুষের প্রেসিডেন্টকে দেব’ (অনুবাদকৃত)।
আট
বিনয়ী, মিতভাষী, অসাম্প্রদায়িক চেতনাসম্পন্ন, শিল্প ও সাহিত্য অনুরাগী এবং কঠোর সংগ্রামের মধ্য দিয়ে দরিদ্রের দিশারী হয়ে ওঠা স্যার ফজলে হাসান আবেদের ৮০তম জন্মদিনে আবারো উষ্ণ অভিনন্দন জানাই। তার জীবন দীর্ঘ ও উত্পাদনক্ষম হোক। জনাথন সুইফটের ভাষায়, আপনি যেন জীবনের সব দিন বেঁচে থাকেন, এ কামনাই করি। তা না হলে কি করে বুঝব, Man can be destroyed but not defeated. কী করে পূরণ হবে আপনার অতৃপ্ত বাসনা নারী-পুরুষ সমতা? ‘ভেঙেছ দুয়ার, এসেছ জ্যোতির্ময়, তোমারি হউক জয়।’

২০১৬ সালে স্যার ফজলে হাসান আবেদের ৮০তম জন্মদিনে আবদুল বায়েসের নিবন্ধ পুনঃপ্রকাশিত


এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন