রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এলপিজি সরবরাহে বনের ওপর চাপ কমেছে —ইউএনএইচসিআর

কূটনৈতিক প্রতিবেদক

২০১৭ সালে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা আশ্রয় নেয় কক্সবাজারের টেকনাফ উখিয়ায়। বিপুল জনগোষ্ঠী রান্নার কাজে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করত কাঠ, যা উখিয়া টেকনাফের সংরক্ষিত বন থেকে সংগ্রহ করত তারা। এতে অল্প সময়ের মধ্যে উজাড় হয়ে যায় কয়েক হাজার হেক্টর বন। অবস্থায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে রান্নার কাজের জন্য তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলপিজি) সরবরাহ করতে শুরু করে সরকারসহ জাতীয় আন্তর্জাতিক সহযোগী সংস্থাগুলো। ফলে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে জ্বালানি হিসেবে কাঠের চাহিদা এখন ৮০ শতাংশ কমে এসেছে, যা চাপ কমিয়েছে বনের ওপর। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর তথ্য দিয়েছে।

সংস্থাটি জানায়, রোহিঙ্গা শরণার্থীরা বাংলাদেশে আসার আগে ওই এলাকায় জ্বালানি হিসেবে প্রায় ৯৫ হাজার টন কাঠ প্রয়োজন হতো। শরণার্থীরা বাংলাদেশে আসার পর চাহিদা অনেক বেড়ে যায়। তবে এলপিজি বিতরণ কার্যক্রম শুরুর পর জ্বালানি কাঠের চাহিদা বর্তমানে ৩৭ হাজার টনে নেমে এসেছে। ইউএনএইচসিআর, আইইউসিএন, বাংলাদেশ সরকার অন্যান্য অংশীদারের যৌথ প্রচেষ্টায় কক্সবাজারের শরণার্থী ক্যাম্প আশপাশ এলাকাগুলোয় পুনরায় সবুজায়ন সম্ভব হচ্ছে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।

ইউএনএইচসিআর আরো জানায়, রান্নার প্রয়োজনে নিকটস্থ জঙ্গল থেকে কাঠ সংগ্রহ কক্সবাজারের পরিবেশের জন্য একটি দীর্ঘকালীন উদ্বেগের বিষয় ছিল, যা রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে প্রবেশের পর আরো তীব্রতর হয়। এমন পরিস্থিতিতে ২০১৮ সালের আগস্ট থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থী স্থানীয় উভয় জনগোষ্ঠীর জন্য বিকল্প জ্বালানি হিসেবে এলপিজি বিতরণ শুরু করা হয়। এলপিজি বিতরণের পর শরণার্থী স্থানীয় মানুষের জীবন পরিবেশের ওপর বিকল্প জ্বালানির প্রভাব যাচাই করার জন্য সম্প্রতি ইউএনএইচসিআর, আইইউসিএন ইন্টার এজেন্সি এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট টেকনিক্যাল ওয়ার্কিং গ্রুপ (ইইটিডব্লিউজি) যৌথভাবে একটি সমীক্ষা চালায়। জরিপের জন্য হাজার ২০০ রোহিঙ্গা ২০০ স্থানীয় পরিবারসহ উখিয়া টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আশপাশের ১০টি বাজার থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। সমীক্ষায় দেখা যায়, এলপিজি বিতরণের ফলে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে জ্বালানি কাঠের চাহিদা কমেছে। রোহিঙ্গা পরিবারগুলোর মধ্যে জ্বালানি কাঠের চাহিদা ৮০ শতাংশ পর্যন্ত কমে গিয়েছে।

সংস্?

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন