‘উড়লে আকাশে প্রজাপতি, প্রকৃতি পায় নতুন গতি’ স্লোগান সামনে রেখে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে দশমবারের মতো অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রজাপতি মেলা। প্রকৃতির কোলে রঙ ছড়ানো এ পতঙ্গটিকে দেখতে সকাল থেকে নানা বয়সী মানুষ ভিড় জমায় প্রজাপতি মেলায়।
গতকাল দুপুর ১২টায় জাবির জহির রায়হান মিলনায়তনের সামনে প্রজাপতি অবমুক্ত ও বেলুন উড়িয়ে প্রজাপতি মেলার উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. গোলাম মোস্তফা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুল জব্বার হাওলাদার, চ্যানেল আইয়ের পরিচালক এবং প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবু প্রমুখ।
মেলায় দিনব্যাপী আয়োজনের মধ্যে ছিল শোভাযাত্রা, শিশু-কিশোরদের জন্য প্রজাপতিবিষয়ক ছবি আঁকা ও কুইজ প্রতিযোগিতা, প্রজাপতির আলোকচিত্র প্রদর্শনী, প্রজাপতিবিষয়ক আলোকচিত্র প্রতিযোগিতা, জীবন্ত প্রজাপতিবিষয়ক হাট দর্শন, প্রজাপতির আদলে তৈরি ঘুড়ি ওড়ানো, প্রজাপতি ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক বারোয়ারি বিতর্ক, প্রজাপতি চেনা প্রতিযোগিতা, প্রজাপতিবিষয়ক ডকুমেন্টারি প্রদর্শনী ও পুরস্কার বিতরণ।
প্রজাপতি মেলার আহ্বায়ক প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মনোয়ার হোসেন বলেন, প্রজাপতিকে চিনলে, প্রজাপতি সংরক্ষণ করলে প্রকৃতি টিকে থাকবে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আগে ১১০ প্রজাতির প্রজাপতি ছিল, তা দিন দিন বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। তাই এসব প্রজাপতিকে সংরক্ষণের জন্য আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে। তাহলে আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের যে সমস্যাগুলো আছে, তা মোকাবেলা করতে পারব।
মেলায় প্রজাপতিবিষয়ক গবেষণায় সার্বিক অবদানের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এমএ বাশারকে ‘বাটারফ্লাই অ্যাওয়ার্ড-২০১৯’ প্রদান করা হয়। এছাড়া সবুজবাগ সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী অরুণাভ ব্রুণোকে ‘ইয়াং বাটারফ্লাই এনথুজিয়াস্ট অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করা হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এমএ বাশার বলেন, প্রজাপতি হলো একটি অসাধারণ প্রাণী। এ প্রাণিটি প্রকৃতি ও পরিবেশের সঙ্গে যত বেশি জড়িত, অন্য কোনো প্রাণী এত বেশি জড়িত আছে কিনা তা আমার জানা নেই। মানুষের সুস্থতা, পরিবেশের সঙ্গে সম্পর্ক আর পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার্থে প্রজাপতির ভূমিকা সর্বোচ্চ। প্রকৃতিকে উপলব্ধি করতে হলে