দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের সঙ্গে কুড়িগ্রামেও বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। গতকাল জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত তিনদিনে সূর্যের দেখা না মেলায় ঠাণ্ডার প্রকোপ বাড়ছেই। এ অবস্থায় মানুষজন প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না। দুর্ভোগ বেড়েছে শ্রমজীবী মানুষের।
রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল তাপমাত্রা একটু বাড়লেও তাতে শীতের প্রকোপ খুব একটা কমেনি। বিশেষ করে বাতাস ও কুয়াশায় মানুষের দুর্ভোগ আরো বেড়েছে।
কুড়িগ্রাম শহরের ভ্যানচালক আলী বলেন, ঠাণ্ডায় ঘর থেকে বের হওয়া যায় না। ফুটপাত থেকে কেনা পুরনো সোয়েটার গায়ে দিয়ে কোনো রকমে ভ্যান নিয়ে বের হয়েছি। কিন্তু লোকজন না থাকায় তেমন ভাড়া মিলছে না।
এদিকে শৈত্যপ্রবাহে দুর্ভোগে পড়েছে জেলার চার শতাধিক চরের বাসিন্দারা। তারা খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের চরযাত্রাপুর, পার্বতীপুর ও তিন হাজারীর চরের মানুষ জানায়, শীতের সঙ্গে বাতাসের কারণে চরাঞ্চলের মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে। কারণ এখানকার অধিকাংশ মানুষেরই গরম কাপড় কেনার সাধ্য নেই। এ অবস্থায় শিশু ও বৃদ্ধরা সবচেয়ে বেশি কষ্ট পাচ্ছে।
এদিকে শীতার্তদের শীত নিবারণে জেলা প্রশাসন থেকে প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বলে জানান কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন। জেলা প্রশাসনের ত্রাণ শাখার তথ্য অনুযায়ী, জেলায় এ পর্যন্ত ৫১ হাজার ৫১৪টি কম্বল নয় উপজেলায় বণ্টন করা হয়েছে। নতুন করে আরো বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।