‘...তাহলে বিনোদিনী থেকে সরে দাঁড়াব’

ফিচার প্রতিবেদক

ঢাকার মঞ্চে ২০০৫ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি নাট্যদল ‘ঢাকা থিয়েটার’ প্রথমবারের মতো পরিচয় করিয়ে দেয় ভারতীয় নাট্যমঞ্চের শক্তিমান অভিনেত্রী বিনোদিনী দাসীকে।  ‘বিনোদিনী’ নামের নাটকটিতে মহীয়সী এ নারীর চরিত্রে একক অভিনয় করেন ‘মঞ্চকুসুম’খ্যাত অভিনেত্রী শিমূল ইউসুফ। মাঝের কিছুটা সময় বিরতি দিয়ে গতকাল আবার শিমূল বিনোদিনীর চরিত্রে ধরা দিয়ে মঞ্চ মাত করেছেন। এটি ছিল নাটকটির ১৩০তম মঞ্চায়ন। মঞ্চে ওঠার ঠিক আগ মুহূর্তে টকিজের সঙ্গে এ অভিনেত্রী ও সংগঠক কথা বলেন ‘বিনোদিনী’র নানা দিক নিয়ে

বিনোদিনীকে আপনি আপনার ক্যারিয়ারের অন্যতম নাটক বলে অভিহিত করে থাকেন। ঠিক কী কারণে কথা বলেন?

কারণ বিনোদিনী দাসী একজন কিংবদন্তি মহীয়সী নারী। আমরা তাকে মঞ্চের মাতৃসম বলে বিবেচনা করি। তাকে নিয়ে কিছু করতে পারাটা আমাদের জন্য খুব আনন্দ সম্মানের। কারণেই নাটকটি আমার কাছে বিশেষ বলে বিবেচিত। তাছাড়া এটা হলো আমার সলো পারফরম্যান্স। সে কারণে বিশেষভাবে আমি আনন্দবোধ করি; চরিত্রটির প্রতি শ্রদ্ধা-ভালোবাসা রেখে অভিনয়ের চেষ্টা করি।

নিয়ে নাটকটির ১৩০তম মঞ্চায়ন হতে যাচ্ছে। এর মানে আপনি বহুবার নাটকটি নিয়ে মঞ্চে উঠেছেন। প্রতিবারই কি কোনো না-কোনো দিক থেকে ভিন্নভাবে বিনোদিনী দাসীকে আবিষ্কার করেন?

মাঝেমধ্যে মনে হয়েছে বিনোদিনীর বেশে নিজেকে ঠিকঠাক হাজির করতে পারিনি। মাঝে মধ্যে মনে হয় কিছুটা পেরেছি। আবার কখনো মনে হয়েছে আরো ভালো হতে পারত। আসলে লাইভ পারফরম্যান্স তো কখনো আর এক হয় না! সবসময়ই ভিন্ন মাত্রা যোগ করেহয় মন্দ অথবা ভালো। সে কারণে প্রতিটা শো আমার কাছে নতুনই মনে হয়।

প্রায় ১৫ বছর ধরে ঢাকা থিয়েটার নাটকটি মঞ্চে হাজির করছে। আবার নানা সংকটের মধ্যেও আপনিই বারবার চরিত্রটি নিয়ে হাজির হচ্ছেন। বিনোদিনী নাটকটিকে এভাবে বিশেষ গুরুত্ব দেয়ার কারণ কী?

বিনোদিনী করার পর অনেকগুলো সলো এসেছে বাংলা মঞ্চে। এর আগেকোকিলারাহয়েছিল, ফেরদৌসী মজুমদার আপা করেছিলেন। কিন্তু অন্য সলো থেকে বিনোদিনীর ভিন্নতা হলো এর নাচ, গান, অভিনয় বর্ণনাত্মক রীতি। অর্থাৎ আমরা ঢাকা থিয়েটার যে আঙ্গিক নিয়ে কাজ করি, সেটা এখানে প্রয়োগ করার চেষ্টা করেছি।

");

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন