উৎপাদন কমানোর নীতি মানছেন না আইভরি কোস্টের কোকোচাষীরা

বণিক বার্তা ডেস্ক

বৈশ্বিক কোকোর ৬০ শতাংশই উৎপাদন করে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ আইভরি কোস্ট ঘানা কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে পণ্যটির দাম কম থাকায় দেশ দুটি কৃষকদের আয় বাড়াতে আগামী মৌসুম থেকে উৎপাদন কমিয়ে আনার পরিকল্পনা করেছে তবে আইভরি কোস্টের কৃষকরা বলছেন, তারা উৎপাদন বাড়াতে চান এবং লক্ষ্যে নতুন করে আবাদও শুরু করবেন তারা খবর রয়টার্স

অতিরিক্ত উৎপাদন সরবরাহ ঠেকাতে চলতি বছরের অক্টোবরে উৎপাদন কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেয় দেশটির কান্ট্রি কোকো রেগুলেটর প্রতিষ্ঠানটি ২০২০-২১ মৌসুমে আইভরি কোস্টের কোকো উৎপাদন ২২ লাখ থেকে কমিয়ে ২০ লাখ টন করার লক্ষ্য নির্ধারণ করে কৃষকদের আয় বাড়াতে প্রতিবেশী দেশ ঘানার সঙ্গে মিলে যৌথভাবে উৎপাদন কমিয়ে আনার পরিকল্পনা হিসেবে সিদ্ধান্ত নেয় আইভরি কোস্ট

বিশ্বের শীর্ষ কোকো উৎপাদক দেশ দুটি যৌথভাবে গত জুলাইয়ে কৃষকদের আয় বাড়াতে লিভিং ইনকাম ডিফারেনটিয়াল এলআইডি ফান্ড চালু করে যে ফান্ডে ২০২০-২১ বিপণন মৌসুম থেকে প্রতি টন কোকো বিক্রির বিপরীতে ৪০০ ডলার জমা দিতে হবে যে অর্থ থেকে হাজার ৬০০ রুপিতে প্রতি টন কোকো বিক্রি নিশ্চিত প্রকল্পের কৃষকের সংখ্যা ৭০ শতাংশে নিয়ে যেতে ব্যবহার করা হবে

এর অর্থ আগামী মৌসুম থেকে ক্রেতা বা চকোলেট কোম্পানিগুলোকে প্রতি কেজি কোকো কিনতে হবে কমপক্ষে হাজার সিএফএ ফ্রাংক বা ডলার ৭০ সেন্টে যেখানে চলতি মৌসুমে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮৩৫ ফ্রাংকে

আইভরি কোস্টের কোকোচাষীরা বলছেন, কোকো উৎপাদনের বাইরে গিয়ে অন্য কোনো খাতে তাদের যাওয়ার সুযোগ কম যে কারণে উৎপাদন দাম বৃদ্ধিই তাদের একমাত্র কাম্য তারা মনে করেন, আইভরি কোস্টের অধিকাংশ কৃষক যেহেতু ক্ষুদ্র চাষী, যে কারণে কোনো প্রণোদনা ছাড়া তারা উৎপাদন কমিয়ে আনতে পারবেন না

সিলভেইন দাপল নামে এক কৃষক জানান, তিনি কোকো আবাদের জন্য চার হেক্টর জঙ্গল পরিষ্কার করেছেন যেখানে আবাদ বন্ধ করতে চান না দাপলের মতো একই কথা জানিয়েছেন দেশটির ৭০ শতাংশ কোকো উৎপাদন হওয়া দালোয়া, ইসসিয়া, গ্যাগবোয়া সওবরি মিয়েগুই এলাকার কৃষকরা সূত্র: রয়টার্স

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন