পাম অয়েলের মজুদ হ্রাসের প্রত্যাশা মালয়েশিয়ার

বণিক বার্তা ডেস্ক

 গত বছরের তুলনায় এবার বছর শেষে পাম অয়েলের মজুদ কিছুটা কমবে বলে আশা করছে মালয়েশিয়া রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বারনামা জানিয়েছে, সরকারের আশা ২০১৯ বছর শেষে পাম অয়েলের মজুদ ২১ লাখ টনে দাঁড়াবে অথবা বড়জোর মজুদ বর্তমান স্তরেই (২২ লাখ ৫০ হাজার টন) থাকবে খবর রয়টার্স

মালয়েশিয়ান পাম অয়েল বোর্ডের (এমপিওবি) তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে দেশটির পাম অয়েলের মজুদ ছিল রেকর্ড ২৩ লাখ টন, যা প্রায় দুই দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ

পাম অয়েলের অভ্যন্তরীণ ব্যবহার বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছে মালয়েশিয়া সরকার শিল্পের নীতিনির্ধারকরা বি২০ নামে বায়োডিজেল কর্মসূচি হাতে নিয়েছে কর্মসূচির আওতায় পাম অয়েলের অভ্যন্তরীণ ব্যবহার বর্তমানে ১৮ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য রয়েছে

এমপিওবির মহাপরিচালক আহমদ পারভেজ গোলাম কাদির বারনামাকে বলেন, আগামী বছরের শুরুতেই আমরা বি২০ কর্মসূচি শুরু করতে যাচ্ছি আর সেই সঙ্গে পাম অয়েলের মজুদ যদি ১৫ থেকে ২০ লাখ টনের মধ্যে থাকে তাহলে আমরা খুব খুশি হব তিনি বলেন, আমার দেখার ইচ্ছা, অপরিশোধিত পাম অয়েল আন্তর্জাতিক বাজারে হাজার মালয়েশিয়ান রুপিতে বেচাকেনা হচ্ছে

পাম অয়েলের দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎপাদক দেশ মালয়েশিয়া অভ্যন্তরীণ ব্যবহার বাড়াতে দেশটি বায়োডিজেলে পাম অয়েলের অনুপাত গত ডিসেম্বর থেকে শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করেছে  আগামী বছর বায়োডিজেলে পাম অয়েলের অনুপাত ২০ শতাংশে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে দেশটির

এমপিওবির মহাপরিচালক বলেন, আশা করা যায়, আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে মালয়েশিয়ান সাসটেইনেবল পাম অয়েল (এমএসপিও) সনদের আওতায় আসবে ৭০ শতাংশ পাম বাগান বর্তমানে যেখানে সনদপ্রাপ্ত বাগান ৬০ দশমিক শতাংশ

তিনি বলেন, এমএসপিও সনদ শতভাগ হওয়ার তিন থেকে চার বছর পর মালয়েশিয়ার পাম অয়েল উৎপাদন হিসাবের মধ্যে চলে আসবে তবে আমরা যতই উৎপাদন করি না কেন, আমার আশা, মজুদের ব্যাপারটি আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারব আর পাম অয়েলের দাম টনপ্রতি হাজার রুপির নিচে নামার কথা না

এমএসপিও সনদ অনুযায়ী চাষীদের কিছু আদর্শ মেনে চলতে হবে সনদের আওতায় চাষীদের পরিবেশ শ্রম অধিকারের সুরক্ষা দিতে হবে ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে পাম চাষীদের সনদ নেয়া বাধ্যতামূলক করছে মালয়েশিয়া

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন