২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য রেকর্ড ৯৩ হাজার ৯০০ কোটি ডলারের খসড়া বাজেট অনুমোদন করেছে জাপানের মন্ত্রিসভা। প্রবৃদ্ধি চাঙ্গা করতে এবং শিল্পোন্নত দেশগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ সরকারি ঋণ ব্যবস্থাপনায় এ বিশাল বাজেট অনুমোদন করেছে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিটি। শুক্রবার এ খসড়া বাজেট অনুমোদনের তথ্য নিশ্চিত করেছে দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয়। খবর রয়টার্স।
আগামী ১ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া পরবর্তী অর্থবছরের জন্য ১০২ দশমিক ৭ ট্রিলিয়ন ইয়েনের (৯৩ হাজার ৯০০ কোটি ডলার) বাজেট অনুমোদন করেছে জাপানের মন্ত্রিসভা, যা চলতি অর্থবছরের চেয়ে ১ দশমিক ২০ শতাংশ বেশি। সামাজিক কল্যাণ ও সামরিক খাতে ব্যয় বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে অর্থনীতি চাঙ্গায় গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে বাজেটের আকার সম্প্রসারিত হতে যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে আর্থিক সংস্কারের চেয়ে প্রবৃদ্ধির ওপর জোর দিচ্ছেন। ফলে টানা আট বছর বাজেটের আকার সম্প্রসারিত করে আসছে জাপান। আর্থিক প্রণোদনা প্রকল্প গ্রহণ এবং ব্যয়ে নমনীয়তার এ নীতি ‘আবেনোমিকস’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।
পরিকল্পিত ব্যয় বৃদ্ধির মধ্যে রয়েছে চলতি মাসে গৃহীত ১২ হাজার ২০০ কোটি ডলারের আর্থিক প্যাকেজ, যা টোকিও অলিম্পিক-পরবর্তী প্রবৃদ্ধি ধরে রাখা, চীন-যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যযুদ্ধ এবং গত ১ অক্টোবরের ১০ শতাংশ বিক্রয় করের প্রভাব ঠেকানোর জন্য গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে জাপানের অর্থমন্ত্রী তারো আসো সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমরা আমাদের ব্যয় সংস্কার অব্যাহত রাখব, যাতে আর্থিক সংস্কার ও অর্থনৈতিক অগ্রগতির মধ্যে ভারসাম্য আনা যায়।
মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত বাজেটটি আগামী বছরের শুরুতেই পাস করবে জাপানের পার্লামেন্ট। এর সঙ্গে চলতি বছরের জন্য অতিরিক্ত একটি বাজেটও অনুমোদন করবে তারা।
এসএমবিসি নিক্কো সিকিউরিটিজের জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ কয়া মিয়ামাই বলেন, অতিরিক্ত শুল্কের প্রভাব ঠেকাতে কর বৃদ্ধি ও সরকারি ব্যয় বৃদ্ধি সত্ত্বেও সরকারি আর্থিক খাতের অবস্থা আরো খারাপ হচ্ছে।
জাপানের সরকারি ঋণের পরিমাণ ৫ ট্রিলিয়ন অর্থনীতিটির দ্বিগুণের চেয়েও বেশি, যা অগ্রসর অর্থনীতিগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ। জাপানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গৃহীত নীতির কারণে বন্ড ইল্ডও ১০ বছর ধরে শূন্য শতাংশের কাছাকাছি রয়েছে। এতে সরকার সস্তায় ঋণ গ্রহণ করতে পারছে।
বিক্রয় কর বৃদ্ধির মাধ্যমে আয় বৃদ্ধির পাশাপাশি টানা দশম বছর নতুন বন্ড ইস্যু কমিয়েছে। চলতি বছরে যেখানে ৩২ দশমিক ৭ ট্রিলিয়ন ইয়েন বন্ড ইস্যু হয়েছে, আগামী অর্থবছরে তা ৩২ দশমিক ৬ 
