রাজধানীসহ সারা দেশে শীতের প্রকোপ বেড়েছে। গতকালও দিনভর সারা দেশ ছিল কুয়াশার চাদরে মোড়ানো। দেশের বিভিন্ন এলাকায় বয়ে চলা মৃদু শৈত্যপ্রবাহের প্রভাবে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত তাপমাত্রা আরো কমবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এদিকে গতকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায় ৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সংস্থাটির পূর্বাভাস, দেশের কোথাও কোথাও আগামী দুদিনে তাপমাত্রা নেমে যেতে পারে ৬-৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। দেশের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে শীতের তীব্রতা বাড়বে বেশি। আগামীকাল পর্যন্ত তাপমাত্রা কমার এ প্রবণতা থাকবে। শৈত্যপ্রবাহের এলাকা আরো বিস্তৃত হবে। এ সময় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা আরো ২-৩ ডিগ্রি কমবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকলেও রাতের তাপমাত্রা হ্রাস পাবে। ২১ ডিসেম্বরের পর কয়েকদিন তাপমাত্রা কিছুটা বাড়বে। তবে চলতি মাসে রাজধানীতে শৈত্যপ্রবাহের কোনো সম্ভাবনা নেই। মাসের শেষ দিকে এক থেকে দুটি শৈত্যপ্রবাহ উত্তরাঞ্চল দিয়ে বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।
এদিকে গত দুদিনের শৈত্যপ্রবাহে ভোগান্তিতে পড়েছে উত্তরাঞ্চলসহ সারা দেশের মানুষ। জরুরি প্রয়োজন না থাকলে ঘর থেকে বের হচ্ছে না মানুষ। হঠাৎ করে তীব্র শীত অনুভূত হওয়ায় বৃদ্ধ ও শিশুরা শ্বাসকষ্টে ভুগছে। হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর ভিড়। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর—
চুয়াডাঙ্গা: দুদিনের দমকা হাওয়ায় হঠাৎ শীতের প্রকোপ বেড়েছে চুয়াডাঙ্গায়। গতকাল জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষ প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না। খড়কুটোয় আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা চালাচ্ছে ছিন্নমূলরা। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় উপস্থিতির হার কমে গেছে। সকালে যাত্রী কম হওয়ায় যাত্রীবাহী বাসগুলোও দেরিতে গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শামীম কবির জানান, হঠাৎ করে তীব্র শীত অনুভূত হওয়ায় বৃদ্ধ ও শিশুরা শ্বাসকষ্টে ভুগছে। হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর ভিড়।
তীব্র শীতে বোরো বীজতলা ‘কোল্ড ইনজুরি’ আক্রান্ত হতে পারে বলে জানিয়েছেন চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক (উদ্ভিদ সংরক্ষণ) সুফি মো. রফিকুজ্জামান। তবে