সংখ্যা বাড়লেও ব্যাংকিং খাতের সক্ষমতা বাড়েনি

জিডিপির অনুপাতে বাড়ুক ব্যাংকের বিনিয়োগ

দেশের কর-জিডিপি অনুপাতই শুধু নিম্ন নয়, ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ জিডিপির অনুপাতও কম বাংলাদেশে। গতকাল বণিক বার্তায় প্রকাশিত সংশ্লিষ্ট এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ জিডিপির অনুপাত ৩৭ শতাংশ। অথচ মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম, দক্ষিণ কোরিয়ার আলোচ্য অনুপাত ১০০ শতাংশের উপরে। এমনকি ভারতে ব্যাংকিং খাতের বিনিয়োগ জিডিপির অনুপাত ৭৫ শতাংশ। সবারই জানা গবেষণায় প্রমাণিত, বিশ্বের সব দেশেই জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে ব্যাংকিং খাত। দেশে বিনিয়োগ বাড়ানোর সময় ব্যাংকগুলোর ঋণ দেয়ার সক্ষমতাই নষ্ট হয়ে গেছে। বিনিয়োগ বাড়াতে হলে ব্যাংকগুলোর সক্ষমতা, আকার ব্যাপ্তি বাড়াতে হবে। নতুন ব্যাংক দিয়ে বিনিয়োগের ব্যাপ্তি বাড়ানো সম্ভব নয়। আমাদের দেশের মানুষ এখনো নগদ লেনদেনে অভ্যস্ত। ফলে বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যাংকিং খাতের বাইরে থেকে যাচ্ছে। ব্যাংকের বিনিয়োগ সক্ষমতা বাড়াতে হলে আমানত বাড়ানো প্রয়োজন। এর জন্য আর্থিক অন্তর্ভুক্তি কার্যক্রম দৃঢ়তার সঙ্গে পরিচালনা জরুরি।

প্রশ্ন হলো, ব্যাংকের বিনিয়োগ বাড়ছে না কেন? যার উত্তর নিহিত খেলাপি ঋণের হার বৃদ্ধির মধ্যে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর শেষে দেশের ব্যাংকিং খাতের মোট সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে লাখ ৮০ হাজার ৬০২ কোটি টাকা। সম্পদের মধ্যে লাখ ১৬ হাজার ২৮৮ কোটি টাকাই খেলাপি। পুনঃতফসিল পুনর্গঠনকৃত ঋণ এবং অবলোপনকৃত ঋণ হিসাবে ধরলে বর্তমানে দেশের ব্যাংকিং খাতের মোট সম্পদের এক-চতুর্থাংশই দুর্দশাগ্রস্ত (স্ট্রেসড) আমানতের খোয়া যাওয়া জালিয়াতির ঘটনায় ব্যাংকিং খাত ঘিরে আস্থার সংকটও দেখা যাচ্ছে। আমানতের সুদের হার মূল্যস্ফীতির নিচে নেমে যাওয়ায় জনগণ নগদ অর্থ বা সম্পদ ধরে রাখতেই বেশি আগ্রহী। তাছাড়া গ্রাম পর্যায়ে ব্যাংকের শাখা সেবার বিস্তৃতি না ঘটাও আর্থিক অন্তর্ভুক্তির পথে অন্যতম প্রতিবন্ধক।

বর্তমান দুর্বল ব্যাংকের বিনিয়োগ-জিডিপি অনুপাতকে উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ানো প্রয়োজন। বাংলাদেশে জনসংখ্যার একটি বড় অংশ ব্যাংকিং খাতের বাইরে রয়ে গেছে। এছাড়া দেশের বৃহৎ অনানুষ্ঠানিক অর্থনীতি আর্থিক খাত সম্পর্কে প্রয়োজনীয় শিক্ষার অভাবের মতো কাঠামোগত কারণগুলোও এক্ষেত্রে প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়ায় অনেক সময়। গবেষণা করতে হবে দেশের অর্থনীতির আকার অনুযায়ী ব্যাংকের বিনিয়োগ হওয়া উচিত। ব্যাংকিং খাতের সক্ষমতা স্থিতিশীলতা নিরূপণে ঋণ ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু কথা অস্বীকারের উপায় নেই যে, শ্রেণীকৃত ঋণের স্থিতি এখনো কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে নামিয়ে আনা সম্ভব হয়নি। এটি বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতের একটি বড় সমস্যা। বর্তমান আগামী দিনের ব্যাংকিং খাতের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় মানবসম্পদ উন্নয়ন যোগ্য নেতৃত্ব তৈরির বিকল্প নেই।

বিশ্বমন্দা পরিস্থিতিতেও সার্বিকভাবে ব্যাংক ব্যবস্থাপনায় কৌশলগত পরিবর্তন এসেছে। আর এর সঙ্গে সংগতি রেখে ব্যাংকগুলোয় মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনায়ও পরিবর্তন আনতে হবে। নীতিনির্ধারণী তথা নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থার চাহিদা অনুযায়ী ব্যাংকিং খাতের নেতৃত্বের মাঝেও সংগতিপূর্ণ পরিবর্তন বাঞ্ছনীয়। বর্তমান পরিস্থিতি সামনে রেখে ব্যাংকিং খাতের নেতৃত্ব তাদের প্রতিষ্ঠানগুলোয় সুদক্ষ মানবসম্পদের সমন্বয়ে এমন একটি পরিবেশ তৈরি করবেন, যা নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থার চাহিদা অনুযায়ী ভূমিকা পালনের সঙ্গে সঙ্গে ভোক্তার সন্তুষ্টি শেয়ারহোল্ডারদের প্রত্যাশা পূরণে সচেষ্ট হবে। নিয়ন্ত্রণ বা

");

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন