টাটার কর্তৃত্বের দ্বন্দ্বে নতুন মাত্রা

বণিক বার্তা ডেস্ক

নতুন মাত্রা পেয়েছে টাটার কর্তৃত্বের দ্বন্দ্ব। ভারতের ন্যাশনাল কোম্পানি আপিল ট্রাইব্যুনাল (এনসিএলএটি) সাইরাস মিস্ত্রিকে আবার টাটা গ্রুপের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। ২০১৬ সালের ২৪ অক্টোবর আচমকাই ওই পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছিল সাইরাস মিস্ত্রিকে। তিন বছর পর আদালতের নির্দেশে আবার সে পদ ফিরে পাচ্ছেন তিনি। তবে ট্রাইব্যুনালের রায়ের ফলে কনগ্লোমারেটটিতে বড় পরিবর্তন আসতে পারে। আইনি লড়াইয়ের চূড়ান্ত ফলাফল না আসা পর্যন্ত বিনিয়োগকারীদের মধ্যে দুর্বল আস্থা দেখা যেতে পারে। করপোরেট বিশ্লেষকরা বলছেন, রায় টাটাদের সাম্রাজ্যে বড় ঝাঁকুনি দিল। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া লাইভমিন্ট। 

তবে রায় কার্যকরের প্রক্রিয়া চার সপ্তাহ স্থগিত থাকবে। সময়ের মধ্যে আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবে টাটা গ্রুপ। চার সপ্তাহ পর কোম্পানির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব বুঝে নিতে পারবেন মিস্ত্রি। টাটা জানিয়েছে, তারা রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করবে।

এনসিএলএটির দুই সদস্যবিশিষ্ট প্যানেল জানিয়েছেন, সাইরাস মিস্ত্রিকে জোরপূর্বক চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছিলেন রতন টাটা। সাইরাস মিস্ত্রি সরে দাঁড়ানোর পর কোম্পানির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন রতন টাটা। টাটা গ্রুপকে ব্যক্তিমালিকানাধীন কোম্পানিতে রূপান্তর করার প্রক্রিয়াকেও বেআইনি বলে ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে ব্যক্তিমালিকানাধীন কোম্পানিতে রূপান্তর হওয়ার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয় টাটা গ্রুপ। টাটাদের মূল সংস্থা টাটা সন্সের প্রায় ১৮ দশমিক শতাংশ মালিকানা নির্মাণ সংস্থা শাপুরজি-পালোনজি গোষ্ঠীর হাতে। সাইরাস প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান পালোনজি মিস্ত্রির ছেলে।

ট্রাইব্যুনালের আদেশের পর দেয়া বক্তব্যে সাইরাস মিস্ত্রি বলেন, আমাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়েই সরানো হয়েছিল। তিনি আরো বলেন, এটা শুধু আমার ব্যক্তিগত জয় নয়। জয় সংখ্যালঘু শেয়ারহোল্ডারদেরও।

টাটা গ্রুপের ঘনিষ্ঠ, তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বড় বিনিয়োগকারী ঋণদাতা বলেছেন, বর্তমান চেয়ারম্যান এন চন্দ্রশেখরন ব্যবসায় আমূল পরিবর্তনের যে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন, আইনি লড়াই সেটিকে শ্লথ করে দিতে পারে। ফলে ইস্পাত ভোক্তাপণ্যসহ বিভিন্ন ব্যবসায় গ্রুপটি যে মূলধন বিনিয়োগ পরিকল্পনা করেছে, সেটাও শ্লথ হয়ে যেতে পারে, অথচ এগুলো প্রবৃদ্ধি করার খাত। এছাড়া টাটা মোটরস লিমিটেডসহ অন্য যেসব ব্যবসা লোকসানে রয়েছে, সেখানেও বিনিয়োগ কমে যেতে পারে, অথচ এসব ব্যবসায় পর্যায়ক্রমে মূলধন জোগানের প্রয়োজন রয়েছে। এছাড়া টাটা সন্সের প্রধান পদে এন চন্দ্রশেখরনের নিয়োগকেও বেআইনি বলেছেন ট্রাইব্যুনাল, যা বিনিয়োগকারীদের কাছে বিশেষভাবে তাত্পর্যপূর্ণ।

নিয়োগ পাওয়ার পর থেকেই টাটায় পরিবর্তন আনতে কাজ করে যাচ্ছেন এন চন্দ্রশেখরন। তিনি ১৫০ বছরের পুরনো কোম্পানিটি ঢেলে সাজাতে কাজ করছেন। অতিরিক্ত ব্যবসা কমিয়ে এবং কয়েকটি ছাতার নিচে ব্যবসাগুলো অন্তর্ভুক্ত করার মাধ্যমে বৃহৎ গ্রুপটিকে একটি অপেক্ষাকৃত ছোট আরো দক্ষ করে তোলার চেষ্টা করছেন তিনি। এছাড়া যেসব খাত প্রবৃদ্ধি করছে, সেসব খাতে আরো বেশি বিনিয়োগ বাড়িয়েছেন চন্দ্রশেখরন।

প্রাপ্ত তথ্যানুসারে, গ্রুপটির শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ২৮ কোম্পানির নিট বাজারমূল্য ২০১৬ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত সম

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন