অর্থনীতির দুর্বল পুনরুদ্ধারের মধ্যে মুদ্রানীতি অপরিবর্তিত রাখল বিওজে

বণিক বার্তা ডেস্ক

গতকাল নীতিনির্ধারণী বৈঠকে মুদ্রানীতি অপরিবর্তিত রেখেছে ব্যাংক অব জাপান (বিওজে) একই সঙ্গে অর্থনীতি সম্পর্কে নিজের আশাবাদী দৃষ্টিভঙ্গিও বহাল রেখেছে ব্যাংকটি। বৈশ্বিক ঝুঁকি জাপানের দুর্বল পুনরুদ্ধারের হুমকি হয়ে উঠলেও নীতিনির্ধারকরা প্রণোদনা জোরদারে কোনো তড়িঘড়ি করবেন না, বিওজের সিদ্ধান্ত থেকে সে আভাস পাওয়া যাচ্ছে। খবর সিএনবিসি।

অক্টোবরের পর্যালোচনার তুলনায় এবারের নীতিনির্ধারণী বৈঠকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকটি জাপানের কারখানা উৎপাদন নিস্তেজ থাকার পূর্বাভাস দিয়েছে। মূলত দুর্বল বৈশ্বিক চাহিদা যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্যযুদ্ধের প্রভাবে কারখানা উৎপাদন হ্রাস সম্প্রসারিত হতে পারে বলে বিওজে মনে করছে।

জাপানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকটির মুদ্রানীতি অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ (ফেড) ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের (ইসিবি) অবস্থানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপর্ণ। সাম্প্রতিক নীতিনির্ধারণী বৈঠকে ফেড ইসিবি উভয়ই মুদ্রানীতি বেশকিছু সময়ের জন্য অপরিবর্তিত রেখেছে।

বাজারের প্রত্যাশা অনুযায়ী, বিওজে স্বল্পমেয়াদি সুদহার লক্ষ্যমাত্রা ঋণাত্মক দশমিক শতাংশে এবং ১০ বছর মেয়াদি সরকারি বন্ড ইল্ড শূন্য শতাংশের কাছাকাছি স্থির রেখেছে। এর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় ব্যাংকটি জাপানের অর্থনীতির মাঝারি গতিতে সম্প্রসারিত হওয়ার মূল্যায়নও অপরিবর্তিত রেখেছে।

নীতি সিদ্ধান্ত ঘোষণা দিয়ে এক বিবৃতিতে বিওজে জানায়, মূলত প্রাকৃতিক বিপর্যয়গুলোর কারণে শিল্পোৎপাদনে পতন দেখা যাচ্ছে।

বিওজের মুদ্রানীতি স্থিতিশীল রাখার সিদ্ধান্তের পেছনে আংশিকভাবে যুক্তরাষ্ট্র-চীনের একটি প্রাথমিক বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের প্রভাব রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ১৬ মাসের বেশি সময় ধরে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধের অবসান ঘটাতে সম্প্রতি বাণিজ্য চুক্তিরপ্রথম ধাপস্বাক্ষর করে বিশ্বের শীর্ষ দুই অর্থনীতি।

স্থিতিশীল স্থানীয় চাহিদা ব্যয়ের সুবাদে চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে বিশ্বের তৃতীয় বৃহৎ অর্থনীতিটি বার্ষিক দশমিক শতাংশ হারে সম্প্রসারিত হয়েছে। তবে অক্টোবরে জাপানের কারখানা উৎপাদনে দুই বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় পতন দেখা গেছে। এছাড়া চতুর্থ প্রান্তিকে বৃহৎ ম্যানুফ্যাকচারারদের ব্যবসা মনোভাব প্রায় সাত বছরের নিচে নেমে গেছে। দেশটির অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে যা দুর্বল অবস্থাকেই প্রতিফলিত করছে।

জাপান সরকার অক্টোবরে বিক্রয় কর বাড়ানোয় ভোক্তা ব্যয় হ্রাস পেয়েছে। ফলে চলতি প্রান্তিকে দেশটির অর্থনীতি সংকুচিত হতে পারে বলে অনেক বিশ্লেষক মনে করছেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন