কর্মশালায় রুবানা হক

৫০ বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্যের সঙ্গে আমি একমত নই

নিজস্ব প্রতিবেদক

২০২১ সালের মধ্যে ৫০ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রফতানির যে লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, তার সঙ্গে একমত নন খাতের শিল্পমালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি . রুবানা হক। গতকাল রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক কর্মশালায় কথা বলেন তিনি।

স্টাডি অন সাপ্লাই চেইন রেজিলিয়েন্স অব আরএমজি সেক্টর ইন বাংলাদেশশীর্ষক সমীক্ষার প্রারম্ভিক কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিজিএমইএ সভাপতি . রুবানা হক ইউএনডিপি বাংলাদেশের উপ-আবাসিক প্রতিনিধি ভ্যান এনগুয়েন। এতে সভাপতিত্ব করেন পরিকল্পনা কমিশন সচিব মো. নুরুল আমিন।

বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ‘সেক্টর নিয়ে কথা বলতে চাই না, কিন্তু এখানে ৫০ বিলিয়ন ডলার টার্গেটের কথা বলা হয়েছে। টার্গেটের সঙ্গে আমি একেবারেই একমত নই, এটি প্রথম কথা। ২০১৩ সালে যখন আমাদের রানা প্লাজা ধসটি ঘটে, ঠিক ওই সময়ে ৫০ বিলিয়নের ডাক দেয়া হয়েছিল। জাতিকে মাঝেমধ্যেই ঘুরে দাঁড়াতে হয় এবং তখনই শক্ত কথা বলতে হয়, সেটি অন্য কথা, অনুপ্রেরণার জন্য হতে পারে। কিন্তু বিশ্ববাজার এমন একটি অবস্থায় আছে, যেখানে ডব্লিউটিও (বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা) আসলে কনজাম্পশন ফোরকাস্ট দশমিক ভাগ থেকে ডাউনগ্রেড করে দশমিক ভাগে নিয়ে এসেছে। জায়গায় দাঁড়িয়ে আমি বুকে হাত দিয়ে বলতে পারব না যে ২০২১- ৫০ বিলিয়ন ডলারের এক্সপোর্ট করব।

৫০ বিলিয়ন ডলার এক্সপোর্ট করা টার্গেট হবে কেনএমন প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, ‘আজকে আপনি আমাকে বলেন ডলারে বিক্রি করে দিতে, প্রত্যেকটি পোশাকের ইউনিট যদি ডলার হয়, আমি আগামী তিন মাসে ৫০ বিলিয়ন ডলারে চলে যাব। কিন্তু আমি মনে করি না ওটা আমাদের টার্গেট হওয়া উচিত। টার্গেট হওয়া উচিত ভ্যালু অ্যাডিশন, টার্গেট হওয়া উচিত রিটেনশন। কেন শুধু একটি সংখ্যা। সংখ্যা শুধু অনেক ধরনের বিভ্রান্তিই সৃষ্টি করতে পারে। আমাদের আসলে স্থির করতে হবে আমরা কী চাই আসলে। পোশাক খাত না, আমাদের শিল্প খাতের জন্য কী চাই। একটি সেক্টর আরএমজি, যেটির শতকরা ৮৩ ভাগের ওপর অর্থনীতি নির্ভর করে থাকে। অথচ জিডিপিতে অবদান ১১ ভাগের একটু বেশি। কেন? তার মানে কী? ইঙ্গিতটি খুব পরিষ্কার। আমাদের ভ্যালু অ্যাডিশন যথেষ্ট হচ্ছে না।

রুবানা হক বলেন, ‘আমরা তো ব্যবসায়ী, নিদেন ব্যবসায়ী, একাডেমিসিয়ানদের সঙ্গে আমাদের বিচ্ছিন্নতা বা বিক্ষিপ্ততা আছে। বিএনবিসি ২০০৬-এর পর ২০১৫ থেকে লেখা হচ্ছে। কিন্তু আমরা এতই দক্ষ যে ২০১৯ হয়ে গেছে, কিন্তু এখন পর্যন্ত আমরা ঘুরে দাঁড়াতে পারিনি। একটা বিল্ডিং কোড ২০০৬-এর পর আজ পর্যন্ত রিভাইজ করতে পারিনি, শুধু নিজেরা ঝগড়া করে, এটি আসলে অন্যায়। আমাদের সেক্টরের কথা চিন্তা করে হলেও আমাদেরকে বিএনবিসি-২০১৯টা প্রকাশ করতে হবে।

অ্যাকর্ড-অ্যালায়েন্স প্রসঙ্গে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ‘২০১৩-তে যখন অ্যাকর্ড-অ্যালায়েন্স এল, তারা এমন কিছু পশ্চিমা প্রেসক্রিপশন নিয়ে এল, যেটার মধ্যে ন্যাশনাল কনটেক্সট মিসিং (জাতীয় প্রেক্ষাপট) মিসিং ছিল। সবার কাছে আমার প্রশ্ন, কেন তখন ন্যাশনাল কনটেক্সট মিসিং ছিল? কেন আপনারা তখন জোর করে দাঁড়িয়ে বলেননি যে এটা ঠিক না। এখন পর্যন্ত অ্যাকর্ডের সঙ্গে আটটি টেকনিক্যাল ইস্যুতে আমরা ঝগড়া করে যাচ্ছি, সাতটি ইস্যু সুলভ করতে পেরেছি।

অগ্নিনিরাপত্তা উপকরণ প্রসঙ্গে রুবানা হক বলেন, ‘ইউএন লিস্টেট ফায়ার অ্যালার্ম, সাংঘাতিক হাইড্রেন্ট সিস্টেম, সব আমদানি করে বসে আছি, ডিজাস্টার ঠেকানোর জন্য, বাহ! অথচ এখন কাজ করে না।

");

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন