‘বি’ ক্যাটাগরিতে ফু-ওয়াং ফুডস

নিজস্ব প্রতিবেদক

৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৯ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশের কম লভ্যাংশ প্রদান করায় ফু-ওয়াং ফুডস লিমিটেডকেথেকেবিক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করা হয়েছে। আজ থেকে কোম্পানিটির জন্য নতুন ক্যাটাগরি কার্যকর হবে। ক্যাটাগরি পরিবর্তনের দিন থেকে পরবর্তী ৩০ কার্যদিবস কোম্পানিটির শেয়ার কেনার ক্ষেত্রে ঋণসুবিধা প্রদান থেকে বিরত থাকতে স্টক ব্রোকার মার্চেন্ট ব্যাংকারদের অনুরোধ করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)

সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে ফু-ওয়াং ফুডস। হিসাব বছরে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৭৮ পয়সা, যা আগের হিসাব বছরের একই সময়ে ছিল ৫৫ পয়সা। ৩০ জুন কোম্পানির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা ৩৫ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১০ টাকা ৫৬ পয়সা।

সর্বশেষ অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ফু-ওয়াং ফুডসের ইপিএস হয়েছে ১৮ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১৭ পয়সা। ৩০ সেপ্টেম্বর কোম্পানির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ১২ টাকা পয়সা।

সার্ভিল্যান্স রেটিং অনুযায়ী ফু-ওয়াং ফুডস লিমিটেডের ঋণমানট্রিপল বি টু ২০১৮ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত নিরীক্ষিত চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে প্রত্যয়ন করেছে ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি অব বাংলাদেশ (সিআরএবি)

চলতি হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) ফু-ওয়াং ফুডসের ইপিএস হয়েছে ২৭ পয়সা, যা আগের হিসাব বছরের একই সময়ে ছিল ২০ পয়সা। প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই-মার্চ) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৬৭ পয়সা, যা আগের হিসাব বছরের একই সময়ে ছিল ৫১ পয়সা। ৩১ মার্চ কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা ৬০ পয়সা, যা আগের বছরে ৩০ জুন ছিল ১০ টাকা ৮৯ পয়সা।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল ফু-ওয়াং ফুডস শেয়ারের সর্বশেষ দর ছিল টাকা ৫০ পয়সা। দিনভর দর টাকা ১০ পয়সা থেকে টাকা ৫০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে। সমাপনী দর ছিল টাকা ৫০ পয়সা। এক বছরে শেয়ারটির সর্বনিম্ন দর ছিল টাকা ২০ পয়সা সর্বোচ্চ দর ১৮ টাকা ৪০ পয়সা।

ফু-ওয়াং ফুডস ২০০০ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। এর অনুমোদিত মূলধন ১৫০ কোটি পরিশোধিত মূলধন ১১০ কোটি ৮৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে কোটি ৯৩ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট শেয়ার সংখ্যা ১১ কোটি লাখ ৩৯ হাজার ২৮৫। এর মধ্যে দশমিক ৬২ শতাংশ কোম্পানির উদ্যোক্তা-পরিচালকদের কাছে, ১৬ দশমিক ৩৭ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, দশমিক ২৯ শতাংশ বিদেশী বিনিয়োগকারী বাকি ৭৪ দশমিক ৭২ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন