পাবদা মাছ চাষ করে লাভের মুখ দেখছেন সাতক্ষীরার চাষীরা। মিঠা পানির অন্য মাছের তুলনায় ভালো দাম ও চাহিদা থাকায় মাছটি চাষে ঝুঁকছেন জেলার চাষীরা। এরই মধ্যে সাতক্ষীরার পাবদা রফতানি করা হচ্ছে ভারতসহ ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশে। সরকারি হিসাবে এ বছর জেলায় মাছটির চাষ বেড়েছে অন্তত ২৫০ বিঘার ঘেরে।
জেলা মত্স্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে চিংড়ির পাশাপাশি পাবদা মাছ রফতানিতে খুবই সম্ভাবনাময় জেলা সাতক্ষীরা। সরকারি হিসাবে চলতি মৌসুমে জেলায় ৯০০ বিঘা পরিমাণ ঘেরে মাছটির চাষ হয়েছে। তবে বেসরকারি হিসাবে এর পরিমাণ দেড় থেকে দুই হাজার বিঘা। অন্যদিকে গত বছর এখানে সরকারি হিসাবে পাবদার ঘের করা হয়েছিল ৬৫০ বিঘায়। আর বর্তমানে চাষীরা প্রতি কেজি পাবদা মাছ বিক্রি করছেন ৫৫০-৬০০ টাকায়।
দেবহাটার সেকেন্দারা এলাকায় পাবদা মাছ উৎপাদন করছে রাইক ফিশ নামে একটি প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি গত বছর প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকার রফতানিযোগ্য পাবদা মাছ উৎপাদন করে। খরচ বাদে এ থেকে তাদের লাভ হয় সোয়া কোটি টাকা।
রাইক ফিশের স্বত্বাধিকারী রাশেদ আহমেদ খোকা বলেন, প্রায় দেড় দশক ধরে তার প্রতিষ্ঠান রফতানিযোগ্য চিংড়িসহ অন্য মাছ চাষ করে আসছে। এর মধ্যে পাবদা চাষ করা হচ্ছে গত চার বছর ধরে।
তিনি আরো বলেন, চিংড়ির পাশাপাশি বর্তমানে রফতানির জন্য সাতক্ষীরার পাবদা খুবই সম্ভাবনাময়। এটি এখন ভারতসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে রফতানি করা হচ্ছে। গত মৌসুমে তিনি সাড়ে ৩০০ বিঘা জমির ঘেরে ১৫ লাখ পাবদা মাছ উৎপাদন করেন। পোনা, মাছের খাদ্য ও ওষুধসহ এতে খরচ হয় ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা। উৎপাদিত মাছ বিক্রি করেন ৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা। ফলে তার লাভ থাকে ১ কোটি ২০ লাখ টাকার মতো। ফলে চলতি মৌসুমে তার প্রতিষ্ঠানে ৩০ লাখ পাবদা চাষের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
কলারোয়া সদরের পাবদাচাষী ইশারাত আলী বলেন, পাঁচ বছর ধরে তিনি পাবদা মাছ চাষ করছেন। গত বছর ১২০ বিঘার ঘেরে এ মাছ উৎপাদন করে খরচ বাদে ৬০ লাখ টাকা লাভ করেন। চলতি মৌসুমেও একই পরিমাণ ঘেরে পাবদা চাষ করছেন। এরই মধ্যে উৎপাদিত মাছ বিক্রি শুরু হয়েছে।
তিনি আরো জানান, গত বছরের চেয়ে এবার পাবদার দাম কিছুটা কম। গত মৌসুমে যে পাবদা মাছ প্রতি কেজি ৬০০ টাকায় বিক্রি করেছেন, তা এবার বিক্রি করছেন ৪৫০-৫০০ টাকায়। এমন দাম থাকলে এবার তার ৪০-৫০ লাখ টাকা লাভ হবে বলে ধারণা করছেন।
এদিকে জেলা সদরের সুলতানপুর বড় বাজারের 
