থেমে নেই ‘সহজিয়া’...

রাইসা জান্নাত

কোনো জটিল পথ নয়, সহজ পথে হাঁটতে চান। বলতে চান গাছ, ফুল, পাখি আর আকাশের সঙ্গে তাদের কথকতা। শুনতে চান সবার কথা। ফুল-পাখি, আকাশ-বাতাসকে সঙ্গী করে গিটারের তারে সুর তুলে একের পর এক গান গাওয়াই যেন তাদের নেশা। বলা হচ্ছে, পাঁচ সদস্যেরসহজিয়াব্যান্ডের কথা। ব্যতিক্রমী পরিবেশনার জন্য সবার কাছেই তারা বেশ পরিচিত। সহজ পথে হাঁটবেন বলেই তারা ব্যান্ডের নাম রেখেছেন সহজিয়া। দলের সদস্যদের ভাষায়, সেই সহজ পথের সন্ধানে ২০০৯ সালে যাত্রা শুরু। পেছনে অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করে চর্যাগীতির সহজিয়া সম্প্রদায়। শুরুর দিকের পথটা খুব মসৃণ ছিল না। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিজেদের প্রতিভা দিয়ে পথটাকে সহজ করে নেন সহজিয়ার সদস্যরা। যাত্রা শুরুর পর দীর্ঘ সময় নেন প্রথম অ্যালবাম বের করতে।

প্রায় পাঁচ বছর পর ২০১৩ সালের নভেম্বরে বের হয় দলের প্রথম গানের অ্যালবাম রঙমিস্ত্রী। বোকা পাখি, রঙমিস্ত্রী, শবনম, অপেক্ষা মতো নয়টি গান ছিল অ্যালবামে। গানগুলো প্রকাশের পর সবার মুখে তা ছড়িয়ে পড়ে। ধীরে ধীরে দর্শক-শ্রোতার মনে জায়গা করে নিতে শুরু করেসহজিয়া যদিও প্রথম অ্যালবামের পর মাঝখানে বেশ কয়েক বছর অ্যালবাম প্রকাশ করেনি তারা। এরপর প্রস্তুতি নিয়েই ২০১৮ সালে দর্শক-শ্রোতাদের উপহার দেয় ঘোড়া। দলটির দ্বিতীয় অ্যালবাম এটি। প্রথম অ্যালবাম


প্রকাশের প্রায় চার বছর পর নতুন অ্যালবাম বের হয়। ঘোড়া অ্যালবামে মোট সাতটি গান ছিল। অ্যালবামের জনপ্রিয় কয়েকটি গান ছোট পাখি, চকোলেট, জাদুকর, লাল-কালো এবং ভোর থেকে রাত। প্রথম অ্যালবামের গানের মতো দ্বিতীয় অ্যালবামের গানগুলোও দর্শক-শ্রোতাদের মন ছুঁয়ে যায়।

দুটি অ্যালবাম বের করেই থেমে যায়নি সহজিয়া। নিজস্ব গতিতে এগিয়ে চলেছে। আরো নতুন নতুন গানের কাজে বর্তমানে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন সহজিয়ার পাঁচ সদস্য। মুহূর্তের ব্যস্ততা নিয়ে টকিজের সঙ্গে কথা হয় দলটির গীতিকার ভোকাল রাজীব আহমেদ রাজুর। তিনি বলেন, ‘বেশ কয়েকটি একক গানের কাজ করছি। কিছুদিন আগে জাদুকর গানের মিউজিক ভিডিও প্রকাশ পেয়েছে। আমরা নিজেরাই মিউজিক ভিডিও পরিচালনার কাজ করেছি। সামনে জানুয়ারিতে মাছরাঙা শিরোনামে আরেকটি মিউজিক ভিডিওর কাজ শুরু করব। এটাও আমরা নিজেরাই পরিচালনা করব।মাছরাঙা গানের বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে রাজু বলেন, ‘আমরা অনেকেই গ্রামে শৈশব কাটিয়েছি, বড় হয়েছি। তারপর যখন শহরে আসি, তখন গ্রামের সেই নদী, গাছপালা, ভোরবেলার পাখির ডাকএগুলোর শূন্যতা অনুভব করি। কারণ শহরে আমরা এগুলো দেখতে পাই না। পুরনো অনেক স্মৃতি মনে পড়ে যায়। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, গ্রামের স্মৃতি,

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন