দগ্ধ হয়ে ১০ শ্রমিকের মৃত্যু

অনুমোদন ছিল না ফ্যান তৈরির কারখানাটির

বণিক বার্তা প্রতিনিধি গাজীপুর

গাজীপুর সদর উপজেলায় কেশরিতা গ্রামে পুড়ে যাওয়া ফ্যান তৈরির কারখানাটির কোনো অনুমোদনই ছিল না বলে জানিয়েছেন কলকারখানা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। গতকাল সকালে তারা কারখানা পরিদর্শন করে তথ্য দেন।

তারা জানান, স্থানীয় একটি দোতলা আবাসিক ভবন ভাড়া নিয়ে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণভাবে উপরে টিনের শেড নির্মাণ করে ফ্যান তৈরির কারখানা গড়ে তোলা হয়। উপরে তৃতীয় তলায় আগুনের সূত্রপাত হলেও নিচে নামার জন্য বিকল্প পথ (সিঁড়ি) না থাকায় ভেতরে দগ্ধ হয়ে মারা যান শ্রমিকরা। কারখানা স্থাপনে কোনো ধরনের নিয়ম মানা হয়নি। তাদের কাছে কারখানা স্থাপনের জন্য কোনো ধরনের আবেদনও করেনি কারখানা কর্তৃপক্ষ।

কলকারখানা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের যুগ্ম মহাপরিদর্শক (সেফটি) প্রকৌশলী ফরিদ আহমেদ জানান, পরিদর্শন করে দেখা যায়, অপরিকল্পিতভাবে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় কারখানাটি পরিচালিত হচ্ছিল। অগ্নিকাণ্ডের পর কারখানায় থাকা বিভিন্ন ধরনের দাহ্য পদার্থের মাধ্যমে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। নিচে নামার জন্য বিকল্প পথ না থাকায় শ্রমিকরা আটকে পড়েন। ফলে তৃতীয় তলায় থাকা অধিকাংশ শ্রমিক মারা যান। ঘটনায় কারখানা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে শ্রম আদালতে মামলা দায়ের করা হবে। এছাড়া আইনানুযায়ী নিহত আহতদের পরিবারের জন্য কারখানা মালিকের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নিহতদের পরিচয়: গত রোববার রাতে কারখানায় কর্মরত অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ হয়ে মারা যান মোট ১০ শ্রমিক। তারা হলেন গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার মারতা গ্রামের কামাল হোসেনের ছেলে রাশেদ (৩৪), একই গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে শামীম (২২), গাজীপুর সদর উপজেলার কেশরিতা গ্রামের বীরবল চন্দ্র দাসের ছেলে উত্তম চন্দ্র দাস (১৮), একই উপজেলার কালনী গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে ফয়সাল খান (২০), গাজীপুর মহানগরীর নোয়াগাঁও এলাকার লালমিয়ার ছেলে পারভেজ (১৯), ময়মনসিংহ জেলার কোতোয়ালি থানার রাঘবপুর গ্রামের সেলিমের ছেলে তরিকুল ইসলাম (১৯), রংপুর জেলার হারাগাছা থানার কাচু বকুলতলা গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলে ফরিদুল (২৩), নরসিংদী জেলার বেলাব থানার চর কাশিনগর গ্রামের মাজু মিয়ার ছেলে সজল (২০), ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর থানার মোরশেদ মিয়ার ছেলে

");

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন