আইটি প্রফেশনালদের সোনালি গন্তব্য জাপান

ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন

পূর্ব এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্র জাপান; সূর্যোদয়ের দেশ হিসেবেও আমাদের কাছে পরিচিত। তবে বিশ্বজুড়ে দেশটির প্রধান পরিচিতি তথ্যপ্রযুক্তিতে উন্নত অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ দেশ বলেই। স্বাধীনতার পর উন্নয়ন সহযোগী হয়েও সবার উপরে রয়েছে জাপান।

একাত্তরে স্বাধীনতার পর অর্থাৎ ১৯৭২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের সঙ্গে জাপানের আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হলেও বাঙালি-জাপানিদের সম্পর্ক শতাব্দী প্রাচীন। জাপানকে ঐতিহাসিকভাবে বন্ধুরাষ্ট্র হিসেবেই বিবেচনা করে বাঙালিরা।

বাংলাদেশ-জাপানের জাতীয় পতাকার মাঝেও মিল রয়েছে। এর মাঝেও বাঙালি-জাপানির মধ্যে সম্পর্কের ধারণা পাওয়া যায়। ইতিহাস বলে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বাঙালি জাতীয়তাবাদী নেতা নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু ব্রিটিশদের কাছ থেকে বাংলা স্বাধীন করতে জাপানের রাজার সাহায্য চান। তার সেই আহ্বানে দেশটির রাজা জাপানের পদাতিক বিমান বাহিনীকে বাংলা অভিমুখে প্রেরণ করেন। বাঙালি-জাপানির বন্ধুত্বের স্মারক হিসেবে দুই দেশের পতাকার একটি মিল বলেই মনে করেন অনেক ঐতিহাসিক।

জাপানের সঙ্গে বর্তমানে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশের বিভিন্ন উন্নয়ন খাতে সহায়তা করছে জাপান। এর মধ্যে রূপসা সেতু, মেট্রোরেল প্রকল্প উল্লেখযোগ্য।

দিন আগে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই প্রকল্প বুঝিয়ে দিয়ে রীতিমতো চমক দেখিয়েছে জাপানের তিন নির্মাণ কোম্পানি। এমনকি বাড়তি অর্থও ফেরত দিয়েছে তারা। এটা তাদের পেশাদারিত্ব সততার নিদর্শনই বটে।

অর্থনৈতিক অবস্থানের দিক দিয়ে ব্যাপক ব্যবধান সত্ত্বেও এশিয়ার দুটি দেশের সরকার জনগণের মধ্যে সম্পর্ক বেশ সুদৃঢ়। সম্পর্কের জায়গা থেকেই হয়তো বাংলাদেশের জন্মলগ্ন থেকেই আর্থসামাজিক উন্নয়নে অবদান রেখে চলেছে জাপান। আলাদা করে বললে, তারা সবসময়ই আমাদের সংকটময় খাতগুলোয়, বিশেষ করে দারিদ্র্য দূরীকরণ, বিদ্যুৎ উৎপাদন জনশক্তি উন্নয়নে উদার সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে।

সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) হিসাবে, স্বাধীনতার পর থেকে ২০১৮ সালের ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ৪২ বছরে বাংলাদেশের উন্নয়নে একক দেশ হিসেবে সবচেয়ে বেশি সহায়তা দিয়েছে জাপান। ওই সময়ে

");

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন