কর্মবাজারের বাইরে প্রতিবন্ধীরা

অর্থনীতির মূল স্রোতে অন্তর্ভুক্তির পদক্ষেপ নেয়া হোক

প্রতিবন্ধীরা কর্মবাজারের বাইরে থাকায় বছরে সাড়ে হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হচ্ছে দেশের। গতকাল বণিক বার্তায় প্রকাশিত সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের প্রায় দেড় কোটি মানুষ কোনো না কোনো প্রতিবন্ধিতা নিয়ে বেঁচে রয়েছে। শিক্ষা থেকে শুরু করে অনেক মৌলিক চাহিদা থেকেই তারা বঞ্চিত। অর্থনীতির মূল স্রোতে অন্তর্ভুক্তও হতে পারছে না তারা। মূলত চাকরিদাতাদের অনাগ্রহের কারণে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। অধিকাংশ কোম্পানিই মনে করে, প্রতিবন্ধীদের কর্মদক্ষতা-সক্ষমতা কম। দিনবদলের পালায় বর্তমান সরকার অবদান রেখেছে অটিজম শিশুদের মানসিক বিকাশের জন্য। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার তনয়া সায়মা ওয়াজেদ হোসেন পুতুলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় অটিজম মোকাবেলায় বাংলাদেশ বিশ্বে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। অটিস্টিক শিশুরা প্রত্যেকে আলাদা হওয়ায় তাদের জন্য নেয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। দক্ষ-অভিজ্ঞ প্রশিক্ষিতদের তত্ত্বাবধান, বিশেষ শিক্ষা কর্মসূচির ব্যবস্থা, প্রত্যেক শিশুর বিশেষ চাহিদা পূরণ, বিকলাঙ্গ শিশুদের আর্থিকভাবে বিশেষ ব্যবস্থার আওতায় আনা হয়েছে। মানসিক শারীরিক উভয় ধরনের অটিস্টিক শিশু রয়েছে। তাদের উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে সঠিকভাবে বেড়ে ওঠার পরিবেশ নিশ্চিতের জন্য নানা পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

প্রতিবন্ধীদের কাজ করার সুযোগ দিলে আমাদের জাতীয় উন্নয়নে তারা বড় ধরনের অবদান রাখতে পারবে। তাই এদের দূরে না রেখে কাজের জায়গা নিশ্চিত করতে হবে। তাদের জন্য পৃথক ক্যাটাগরি করতে হবে। তারা কে কোন কাজ করতে পারবে, তার একটি নির্দিষ্ট তালিকা তৈরি করতে হবে। যাতে কাজের সন্ধানে গিয়ে নিজের যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও ভাইভা বোর্ড থেকে তাদের ফিরে আসতে না হয়। দাতা কোম্পানিগুলো থেকে অভিযোগ করা হয়, তারা কাজ করতে পারবে না। অভিযোগ করা খুব সহজ, কিন্তু অভিযোগকে দূরীভূত করা খুব কঠিন। শব্দটা খুব অপ্রিয়, আভিধানিকভাবে প্রতিবন্ধী শব্দটা পরিবর্তনের দাবি উঠেছে। বর্তমান সময়ে তাদের প্রতিবন্ধী না বলে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন জনগোষ্ঠী বলা হয়। এখন সময় পাল্টাচ্ছে। জনগোষ্ঠী এরই মধ্যে নিজেদের দক্ষতার প্রমাণ করেছে। এর বড় উদাহরণ বিশেষ অলিম্পিক। শুধু সরকার নয়, ব্যাপারে দেশের সর্বস্তরের মানুষকেই কাজ করতে হবে। নিজে সচেতন হতে হবে এবং অন্যকে সচেতন করতে হবে। সরকার ১০টি লক্ষ্য নির্ধারণ করে প্রতিবন্ধীদের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। প্রতিবন্ধীবান্ধব উন্নত দেশগুলোর মতো করেই কাজের পরিকল্পনা করে তা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। কাজের জায়গায় গিয়ে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা নানা বাধার সম্মুখীন হন। ব্রিটিশ সময়ে করা কিছু আইনে অনেক অসংগতি রয়েছে। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের স্বার্থে এসব আইন সংশোধন করতে হবে।

বাংলাদেশ অষ্টম দেশ হিসেবে জাতিসংঘের প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর অধিকারবিষয়ক সনদে স্বাক্ষর করেছে। সনদ ২০০৮ সাল থেকে কার্যকর রয়েছে। ২০১৩ সালে বাংলাদেশ সরকার প্রতিবন্ধী জনগণের জন্য যুগোপযোগী আইন প্রণয়ন করেছে। আইনটির কার্যকর প্রতিফলন ঘটাতে হলে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে শিক্ষা-কর্মসংস্থানসহ সব ক্ষেত্রে সমান সুযোগ দিতে হবে। সরকার এরই মধ্যে এক্ষেত্রে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ নিয়েছে। সরকারি চাকরিতে তাদের জন্য বিশেষ কোটা নির্ধারণ করা হয়েছে; সাম্প্রতিক বাজেটগুলোয় তাদের জন্য পৃথক ভাতার ব্যবস্থা করা হয়েছে; প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের কর্মসংস্থানের জন্য বিশেষ চাকরি

");

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন