দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকার সম্পাদক আবুল আসাদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে তিনদিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত গতকাল এ আদেশ দেন। এর আগে আবুল আসাদকে আদালতে হাজির করে পাঁচদিন রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হাতিরঝিল থানার পরিদর্শক মোহাম্মদ গোলাম আজম।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঘোলাটে করার জন্য এ ধরনের উসকানিমূলক সংবাদ পরিবেশন করেন এ আসামিসহ অন্যরা। সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য আসামিরা সর্বদা সচেষ্ট রয়েছেন। এ আসামিসহ অন্য আসামিরা রাষ্ট্রদ্রোহী সংঘবদ্ধচক্রের সহায়তায় এ ধরনের উসকানিমূলক তথ্য প্রচারসহ দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও সংবিধানকে অস্বীকার করেন। এ ঘটনার ইন্ধনদাতা এবং পলাতক আসামিদের গ্রেফতার করার জন্য এ আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি।
আদালত উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে আসামি আবুল আসাদকে তিনদিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন। আবুল আসাদ ছাড়াও দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকার প্রধান প্রতিবেদক রুহুল আমিন গাজী, বার্তা সম্পাদক সাদাত হোসেনসহ অজ্ঞাত আরো সাত থেকে আটজন প্রতিবেদককে আসামি করা হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২১, ৩১ ও ৩৫ ধারা এবং দণ্ডবিধির ১২৪-ক ধারায় এ মামলা করা হয়েছে।
এর আগে আদালতে দাখিল করা প্রতিবেদনে গোলাম আজম বলেন, মামলার বাদী আফজাল হোসেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৩ সালে আবদুল কাদের মোল্লার মৃত্যুদণ্ড হয়। তখন কাদের মোল্লাকে ‘কসাই কাদের’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। কিন্তু রাজাকার অর্থাৎ মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তির দোসররা দেশের বিরুদ্ধে, মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে এবং সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় ১২ ডিসেম্বর দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকার প্রথম পাতায় ‘শহীদ আবদুল কাদের মোল্লার ষষ্ঠ শাহাদতবার্ষিকী’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ওই প্রতিবেদনের পক্ষে বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দেয়া হয়। পত্রিকার সম্পাদক আবুল আসাদসহ অন্য আসামিরা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের ব্যক্তিদের খেপিয়ে তোলার জন্য এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আঘাত দেয়ার জন্যই এমন মিথ্যা ভিত্তিহীন সংবাদ পরিবেশন করেন।