শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের সঙ্গে বৈঠকের পর আমরণ অনশন কর্মসূচি স্থগিত করেছেন পাটকল শ্রমিকরা।
গত শুক্রবার রাতে খুলনায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। কর্মসূচি স্থগিত হওয়ায় গতকাল থেকে আবার শ্রমিকরা কাজে যোগ দিতে শুরু করেছেন। এতে পাটকলের কার্যক্রম আবার স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে।
জানা গেছে, বকেয়া মজুরি পরিশোধসহ ১১ দফা দাবি পূরণে গত ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দেন পাটকল শ্রমিকরা। এর মধ্যে দাবি পূরণ না হওয়ায় তারা ২৫ নভেম্বর থেকে আন্দোলনে নামেন। এ আন্দোলনের মুখে অর্থ মন্ত্রণালয় সব মিলের বকেয়া মজুরি ও বেতন-ভাতা পরিশোধে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দের কথা জানায়।
তবে এর পরও আন্দোলন অব্যাহত রাখেন শ্রমিকরা। পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী গত ১০ ডিসেম্বর বেলা ২টা থেকে শ্রমিকরা নিজ নিজ মিল গেটে আমরণ অনশন শুরু করেন। অনশন পালনরত অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার খুলনায় আ. সাত্তার নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়। এ অবস্থায় গত শুক্রবার রাতে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের সঙ্গে বৈঠক করেন শ্রমিক নেতারা।
এ সময় তিনি ১৫ ডিসেম্বর (আজ) মজুরি কমিশন বাস্তবায়নে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা এবং বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনে (বিজেএমসি) শ্রমিক নেতাদের নিয়ে সভা করার কথা জানান। একই সঙ্গে তিনি শ্রমিক নেতাদের ঘরে ফিরে যেতে বলেন।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে রাতেই অনশন স্থগিতের ঘোষণা দেয়া হয় কর্মসূচি স্থগিত হওয়ায় রাতেই অনশনস্থল থেকে বাড়ি ফিরে যেতে শুরু করেন। গতকাল সকাল থেকে তারা কাজেও যোগ দেন।
এ তথ্য নিশ্চিত করে পাটকল সিবিএ-ননসিবিএ সংগ্রাম পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মুরাদ হোসেন বলেন, রাতে অনশন স্থগিতের পর গতকাল সকাল থেকে শ্রমিকরা কাজে যোগ দিতে শুরু করেছেন।
প্লাটিনাম জুট মিলের শ্রমিক নেতা খলিলুর রহমান বলেন, তার মিলের শ্রমিকরা সকালে কাজে যোগদান করেছেন এবং যথারীতি মিল স্বাভাবিক হয়ে এসেছে।
ক্রিসেন্ট জুট মিলের শ্রমিক নেতা সোহরাব হোসেন জানান, এ মিলের শ্রমিকরা বেলা ২টার দিকে কাজে যোগ দিয়েছেন।
প্লাটিনাম জুট মিলের প্রকল্প প্রধান মো. গোলাম রব্বানি জানান, তার মিলে সকাল ৬টা থেকেই শ্রমিকরা কাজে যোগদান করেন। মিল এলাকা ও কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে।