গতকাল সুদানের একটি আদালত দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ওমর আল-বশিরের দুই বছরের আটকাদেশ দিয়েছেন। দুর্নীতি ও অবৈধভাবে বিদেশী মুদ্রার মালিক হওয়ার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে এ রায় দেয়া হয়েছে। বয়সের কারণে তাকে কারাগারের পরিবর্তে সংশোধনাগারে রাখার আদেশ দেয়া হয়েছে। খবর রয়টার্স।
কয়েক মাস বিক্ষোভের মুখে এপ্রিলে ক্ষমতাচ্যুত হন তিন দশক ক্ষমতায় থাকা এ প্রেসিডেন্ট। দুই বছর আটকাদেশের পাশাপাশি তার বাসায় পাওয়া কয়েক লাখ ইউরো ও সুদানি পাউন্ড বাজেয়াপ্ত করারও আদেশ দিয়েছেন আদালত।
এদিকে দেশটির দারফুরে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ২০০৯ ও ২০১০ সালে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)।
গতকাল রায় ঘোষণার সময় ধাতব নির্মিত একটি আসামির খাঁচা থেকে নিঃশব্দে তাকিয়ে থাকতে দেখা গেছে বশিরকে। এ সময় তার পরনে ছিল নিজেদের ঐতিহ্যবাহী সাদা আলখাল্লা ও পাগড়ি।
ক্ষমতাচ্যুত এ প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে আরো অনেক মামলা করা হয়েছে। রায় হওয়া মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল মে মাসে। এতে তার বিরুদ্ধে উত্তেজনা সৃষ্টি ও বিক্ষোভকারী হত্যার অভিযোগ আনা হয়। তবে চলতি সপ্তাহে জেরার সময় ১৯৮৯ সালে সামরিক বাহিনীর ক্যুর সঙ্গে তার সম্পৃক্ততার বিষয়েও তাকে প্রশ্ন করেন আদালত।