খুলনা ও যশোরের রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলের সিবিএ, নন-সিবিএ সংগ্রাম পরিষদের ডাকে অনশন কর্মসূচি পালন করছেন শ্রমিকরা। গতকাল ছিল এ কর্মসূচির চতুর্থ দিন। এরই মধ্যে অনশনে অসুস্থ হয়ে গত বৃহস্পতিবার মারা গেছেন খুলনার প্লাটিনাম জুট মিলের শ্রমিক আব্দুস সাত্তার (৫৫)। গতকাল সকালে শ্রমিকরা তার জানাজা ও জুমার নামাজ পড়েন রাজপথেই। আর এ পর্যন্ত অন্তত ২০০ শ্রমিক টানা এ অনশনে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে জানা গেছে। তাদের কর্মসূচিতে শিল্পাঞ্চলের দোকান ও মার্কেট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সৃষ্টি হয়েছে অচলাবস্থা।
রাষ্ট্রায়ত্ত নয় পাটকলের মধ্যে খুলনায় রয়েছে সাতটি ও যশোরে দুটি। খুলনার পাটকলগুলো হলো ক্রিসেন্ট জুট মিল, খালিশপুর জুট মিল, দৌলতপুর জুট মিল, প্লাটিনাম জুট মিল, স্টার জুট মিল, আলীম জুট মিল ও ইস্টার্ন জুট মিল। আর যশোরের দুটি জুট মিল হলো কার্পেটিং ও জেজেআই।
শ্রমিকরা জানান, অনশনে মৃত আব্দুস সাত্তারের জানাজা সকাল ১০টায় প্লাটিনাম জুট মিল গেটে বিআইডিসি সড়কে অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে তার মরদেহ পটুয়াখালীর কলাপাড়ার উদ্দেশে পাঠানো হয়। জানাজায় ইমামতি করেন খালিশপুর ইমাম পরিষদের সভাপতি এসলাইন মসজিদের ইমাম মাওলানা তরিকুল ইসলাম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু, সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক তরিকুল ইসলাম, রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল সিবিএ-ননসিবিএ সংগ্রাম পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মুরাদ হোসেন, হুমায়ুন কাবির, সোহরাব হোসন, শ্রমিক নেতা কাওসার আলী মৃধা, মো. খলিলুর রহমান, সেলিম আকন, সেলিম শিকদার, মনিরুল ইসলাম শিকদার, আবু হানিফ, শাহাজান সিরাজ, তরিকুল ইসলাম, মিজানুর রহমান ও মিন্টু মিয়া প্রমুখ।
এদিকে খুলনার খালিশপুর বিআইডিসি সড়কে শামিয়ানা টানিয়ে বিভিন্ন জুট মিলের শ্রমিকরা আমরণ অনশন করছেন। স্টার জুট মিলের ননসিবিএ ভাইস প্রেসিডেন্ট বাচ্চু ব্যাপারী বলেন, এখানকার ২৬ জন শ্রমিক হাসপাতালে ভর্তি আছেন। আর অনশন প্যান্ডেলে শতাধিক শ্রমিককে স্যালাইন দেয়া হয়েছে।
ক্রিসেন্ট জুট মিলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সোাহরাব হোসেন বলেন, তার মিলের ১৪ জন শ্রমিক হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। স্যালাইন দেয়া হচ্ছে ১৫ জনকে।
রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল সিবিএ, নন-সিবিএ সংগ্রাম পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক খলিলুর রহমান বলেন, শীত এবং অনশনের কারণে একের পর এক শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। প্লাটিনাম জুট মিলের অন্তত ৮০ জন শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এর মধ্যে ১৫