বৈশ্বিক বাণিজ্য ঘিরে চলমান উত্তেজনার কারণে আকাশসেবা সংস্থাগুলোর মুনাফায় পতন ঘটেছে। আগামী বছর শিল্পটির মুনাফা ঘুরে দাঁড়ানোর আশা করা হলেও তা ২০১৮ সালের সমপর্যায়ের হবে না বলে বুধবার আকাশসেবা শিল্পের বাণিজ্যিক সংঘ জানিয়েছে। খবর এএফপি।
চলতি বছর বৈশ্বিক আকাশসেবা শিল্পের আয় ২ হাজার ৫৯০ কোটি ডলার দাঁড়াবে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যা ২০১৮ সালে শিল্পটির ৩ হাজার কোটি ডলার নিট মুনাফা থেকে ১৪ শতাংশ কম। গত জুনে ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের (আইএটিএ) দেয়া ২ হাজার ৮০০ কোটি ডলার নিট মুনাফার পূর্বাভাস দিয়েছিল। সর্বশেষ যে আয় আশা করা হচ্ছে, তা গত বছরের ডিসেম্বরে ২০১৯ সালের জন্য যে পূর্বাভাস করা হয়েছিল তার চেয়ে এক-চতুর্থাংশ কম।
আইএটিএর প্রধান আলেকজান্দ্রে দে জুনিয়াক বলেন, মন্থর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, বাণিজ্যযুদ্ধ, ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা ও সামাজিক অস্থিরতা এবং এর সঙ্গে যুক্ত অনিশ্চিত ব্রেক্সিট পরিস্থিতি, এ সবকিছু মিলে আকাশসেবা সংস্থাগুলোর জন্য প্রত্যাশার চেয়ে কঠিন ব্যবসায়িক পরিবেশ তৈরি করেছে।
তিনি আরো বলেন, পুনর্গঠন ও ব্যয় সংকোচনের মতো পদক্ষেপগুলো এখনো আকাশসেবা শিল্পের মুনাফার ধারা ১০ বছর টিকিয়ে রাখতে কোনো সহায়তা করছে না। আর ২০১৯ সাল শিল্পের অর্থনৈতিক চক্রের একেবারে তলানির বছর হতে যাচ্ছে।
এদিকে বৈশ্বিক বাণিজ্য প্রবৃদ্ধির প্রত্যাশিত পুনরুদ্ধার ও জ্বালানি মূল্যহ্রাসের সুবাদে আগামী বছর আকাশসেবা সংস্থাগুলোর নিট মুনাফা বেড়ে ২ হাজার ৯৩০ কোটি ডলারে দাঁড়াবে বলে আইএটিএ আশা করছে। এছাড়া আগামী বছর আকাশ ভ্রমণের চাহিদাও ৪ দশমিক ১ শতাংশ বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যা ২০১৯ সালের চেয়ে সামান্য কম।
একই সময় আকাশসেবা সংস্থাগুলোর সক্ষমতা বেড়ে ৪ দশমিক ৭ শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস করা হয়েছে, যা চলতি বছরের ৩ দশমিক ৫ শতাংশের চেয়ে বেশি।
এক নোটে দে জুনিয়াক বলেন, ২০২০ সালের সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হলো সক্ষমতার বিকাশ কীভাবে ঘটবে, বিশেষ করে যখন বোয়িংয়ের ৭৩৭ ম্যাক্স মডেলের উড়োজাহাজগুলো পরিষেবায় ফিরে আসবে এবং বিলম্বিত সরবরাহগুলো পৌঁছে দেয়া হবে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোয় আকাশসেবা সংস্থাগুলোর মধ্যে ব্যাপকসংখ্যক নতুন, আরো জ্বালানিসাশ্রয়ী উড়োজাহাজের ক্রয়াদেশ দিতে দেখা গেছে। কিন্তু প্রতিযোগিতার চাপ এখনো উঁচুই রয়েছে ও চলতি বছর বেশ কিছুসংখ্যক কোম্পানি দেউলিয়া হয়ে পড়েছে।
