কেরানীগঞ্জে কারখানায় আগুন

আরো ১১ জনের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক

অগ্নিদগ্ধ হয়ে বুধবারই মৃত্যু হয়েছিল একজনের। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন আরো ২৯ জন। তাদের মধ্যে মারা গেছেন আরো ১১ জন। নিয়ে কেরানীগঞ্জের প্রাইম প্লেট অ্যান্ড প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড কারখানায় ভয়াবহ আগুনে প্রাণ হারালেন মোট ১২ জন।

দগ্ধ হয়ে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে আছেন নরসিংদীর বাবলু হোসেন (২৬), টাঙ্গাইলের মো. সালাউদ্দিন (৩২), বরিশালের আব্দুল খালেক খলিফা (৩৫), জাহাঙ্গীর (৫২), পটুয়াখালীর ইমরান (১৮), সুজন (১৯), দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের মো. আলম (২২), নড়াইলের রায়হান বিশ্বাস (১৬), মেহেদী হোসেন (২০), জিনারুল ইসলাম মোল্লা রংপুরের মাহাবুব (২৫)

এছাড়া চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরো ১৭ জন, যাদের সবারই শ্বাসনালি পুড়ে গেছে। দগ্ধ ১৭ জনের সবার অবস্থাই আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের জাতীয় সমন্বয়ক সামন্ত লাল সেন। তিনি জানান, দগ্ধদের শরীরের ৩০ থেকে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত পুড়ে গেছে। তাছাড়া তাদের সবারই শ্বাসনালিও পুড়ে গেছে। সবাইকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

ঢামেক হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের প্রধান ফটকের বাইরে অনেকটা বাকরুদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন সিরাজুল ইসলাম। মাঝেমধ্যেই বিলাপ করে বলছিলেন, আমার ভাইরে ওরা পুড়াইয়া মারছে।

সিরাজুল ইসলাম জানান, তার ছোট ভাই জিনারুল ইসলাম মোল্লা ২০০৮ সালে ঢাকায় আসেন। কাজ নেন গাজীপুরের একটি প্লাস্টিক কারখানায়। সেখানে ছয় বছর কাজ করার পর ২০১৪ সালের শেষদিকে কেরানীগঞ্জের প্রাইম পট অ্যান্ড প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড কারখানায় অপারেটর হিসেবে চাকরি নেন। দুই বছর পর পদোন্নতি পেয়ে সিনিয়র অপারেটর হন জিনারুল। দুই সন্তান নিয়ে তার স্ত্রী থাকতেন গ্রামে। ইচ্ছা ছিল আগামী বছরের শুরুর দিকে স্ত্রী-সন্তানকে ঢাকায় আনবেন। কিন্তু কারখানার আগুনে সব শেষ হয়ে গেল।

ঢামেক হাসপাতালের নিচে এক তরুণীর মাথায় পানি ঢালছিলেন আনসার সদস্যরা। কাছে গিয়ে জানা যায় তার নাম তাসলিমা আক্তার। মাঝে মাঝে সংজ্ঞা ফিরেই প্রলাপ বকছেন। কেরানীগঞ্জের আগুনে তাসলিমা হারিয়েছেন তার স্বামী মো. ফয়সালকে।

এদিকে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ ১৭ জন শ্রমিকের চিকিৎসা সহায়তা

");

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন