রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র

ক্রয় প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগে ১৩ জনকে গ্রেফতার দুদকের

নিজস্ব প্রতিবেদক

পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের ক্রয় কার্যক্রমে দুর্নীতির অভিযোগে গণপূর্ত বিভাগের সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদুল আলমসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তাদের মধ্যে ১১ জন প্রকৌশলী দুজন ঠিকাদার। ১৩ জনকে এরই মধ্যে গ্রেফতার করে আদালতে উপস্থাপন করেছে দুদক। গ্রেফতারকৃতদের আদালত জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন পাবনা গণপূর্ত উপবিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. জাহিদুল কবির, উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. মোস্তফা কামাল, উপসহকারী প্রকৌশলী মো. শফিকুল ইসলাম, উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আহমেদ সাজ্জাদ খান, এস্টিমেটর উপসহকারী প্রকৌশলী সুমন কুমার নন্দী, সহকারী প্রকৌশলী মো. তারেক, সহকারী প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম, মজিদ সন্স কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের স্বত্বাধিকারী আসিফ হোসেন, উপসহকারী প্রকৌশলী মো. আবু সাঈদ, সাজিন কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের স্বত্বাধিকারী মো. শাহাদাত হোসেন, উপসহকারী প্রকৌশলী মো. রওশন আলী, উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. তাহাজ্জুদ হোসেন প্রমুখ।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, কমিশনের চার মামলার একটিতে রূপপুর প্রকল্পের ৮৫০ বর্গফুটের ছয় ইউনিটবিশিষ্ট ২০ তলা ভবনের ( নং ভবন) সিভিল ওয়ার্ক /এম ওয়ার্কের ৭০ ধরনের উপকরণ সংগ্রহের কাজে সরকারের কোটি ৭৯ লাখ ৪২ হাজার ৪৩৮ টাকা ক্ষতি করার অভিযোগ তোলা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত ১৩ জনের মধ্যে মামলায় নয়জনকে আসামি করা হয়েছে।

আরেকটি মামলায় একই ভবনের হাজার ২৫০ বর্গফুটের জন্য ৯০ ধরনের উপকরণ সংগ্রহ করতে কোটি ১২ লাখ ৭৯ হাজার ৯৫০ টাকা ক্ষতির অভিযোগ তোলা হয়েছে। মামলায় সাতজনকে আসামি করা হয়েছে।

৮৫০ বর্গফুটের নম্বর ভবনের জন্য ৭৫টি উপকরণ সংগ্রহে কোটি ৪৮ লাখ ১৬ হাজার ৬৮ টাকা সরকারি অর্থ নষ্টের অভিযোগে করা তৃতীয় আরেকটি মামলায় আসামি করা হয়েছে নয়জনকে।

আরেকটি ভবন নির্মাণের জন্য ৬৩টি উপকরণ সংগ্রহের জন্য কোটি ৮৪ লাখ হাজার ৭১৬ টাকার সরকারি অর্থ বিনষ্টের অভিযোগে করা মামলায় আসামি করা হয়েছে আটজনকে।

প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদকের উপপরিচালক মো. নাসির উদ্দিনকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি অনুসন্ধান কমিটি করা হয়েছে।

");

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন