চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের জন্য বাংলাদেশের প্রস্তুতিতে ঘাটতি রয়েছে। এজন্য এখনই প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে হবে। রাজধানীতে গতকাল অনুষ্ঠিত ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশনস ম্যানেজমেন্ট (আইএমইওএম) বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে এসব কথা বলেন দেশী-বিদেশী বিশেষজ্ঞরা। যৌথভাবে এ সম্মেলনের আয়োজন করে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট (বিআইএম) ও আইইওএম সোসাইটি অব বাংলাদেশ। বণিক বার্তা অনুষ্ঠানের মিডিয়া পার্টনার।
সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিআইএমের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) তাহমিনা আক্তার। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইকবাল। বিশেষ অতিথি ছিলেন কানাডার নিউ ব্রান্সউইক ফ্রেডেরিকটন বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের অধ্যাপক ড. আব্দুর রহিম, বিআইএমের পরিচালক (অর্থ) প্রকৌশলী আবু নাসের মো. শহিদুল্লাহ, পরিচালক (প্রশিক্ষণ) ড. পারভীন আহমেদ, পরিচালক (প্রশাসন) প্রকৌশলী আলী আক্কাস, আহছানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. সারোয়ার মোরশেদ। সভাপতিত্ব করেন বিআইএমের উৎপাদন ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মো. মামুনুর রশিদ। আইইওএমের পক্ষে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ড. এআরএম হারুনুর রশিদ।
‘চতুর্থ শিল্পবিপ্লব এবং বাংলাদেশ’ বিষয়ের ওপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে ড. মো. ইকবাল বলেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের অর্থ এটা নয় যে শিল্পাঞ্চলগুলো শুধু স্মার্ট সিটিতে পরিণত হবে। এ ধারণাটির ব্যাপকতা হবে আরো সুপরিসর। কারখানার যন্ত্রপাতিগুলো পরিচালিত হবে তারবিহীন সংযোগের মাধ্যমে। সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য সেন্সরগুলো একটা সিস্টেমের সঙ্গে আরেকটা সিস্টেমের সংযোগ দেবে। এটা উৎপাদন কৌশলে সর্বাধুনিক কম্পিউটার প্রযুক্তির সম্প্রসারণ ঘটাবে। কম্পিউটারনির্ভর এ উৎপাদন কৌশলে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স প্রযুক্তির ব্যবহার হবে। যেটার লক্ষ্য হবে ইন্টেলিজেন্ট কারখানা নির্মাণে অভিযোজন-প্রবণতা, সম্পদের সক্ষমতা ও কর্মদক্ষতার প্রাধান্য।
