চট্টগ্রাম রাইস মিল মালিক সমিতির প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন

পুনর্নির্বাচন অনুষ্ঠানে শ্রম অধিদপ্তরের চিঠি

সুজিত সাহা চট্টগ্রাম ব্যুরো

 চট্টগ্রাম রাইস মিল মালিক সমিতির নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে শ্রম অধিদপ্তর শ্রম আইন লঙ্ঘন করে গত ৩০ নভেম্বর সংগঠনটির ত্রিবার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে অভিযোগ করা হচ্ছে এমনকি গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করে কমিটির পদসংখ্যাও বাড়িয়েছেন সংগঠনের নেতারা

গত ৩০ নভেম্বর খাতুনগঞ্জের চাক্তাই এলাকার ঐতিহ্যবাহী চট্টগ্রাম রাইস মিল মালিক সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় নির্বাচনে কার্যনির্বাহী কমিটির ১৫ জন সদস্য নির্বাচিত হন

অভিযোগ উঠেছে, শ্রম বিধিমালা অনুযায়ী সমিতির বিদ্যমান সদস্য সংখ্যার অনুপাতে কার্যকরী কমিটির পরিধি নির্ধারণে শ্রম অধিদপ্তরের অনুমোদন নেয়া হয়নি সদস্য সংখ্যা কমে যাওয়ায় গঠনতন্ত্র সংশোধন করে কমিটির পদসংখ্যা শ্রম আইনের আওতায় কমিয়ে আনার কথা ছিল কিন্তু সেটিও লঙ্ঘন করেছেন সংগঠনটির নেতারা মূলত সমিতির প্রভাবশালী একটি পক্ষ পছন্দের সদস্যদের কমিটিতে সুযোগ দিতেই শ্রম অধিদপ্তরকে না জানিয়েই নির্বাচন সম্পন্ন করেছে বলে জানা যাচ্ছে

বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা অনুযায়ী, সংগঠনের সদস্য সংখ্যা ৫০-এর কম হলে কার্যকরী কমিটির পরিধি হবে পাঁচজন, অনধিক ১০০ হলে সাতজন, ১০১ থেকে ৪০০ হলে নয়জন, ৪০১ থেকে ৮০০ হলে ১১ জন, ৮০১ থেকে হাজার ৫০০ হলে ১৩ জন, হাজার ৫০১ থেকে হাজার জন হলে ১৭ জন আগের গঠনতন্ত্র রাইস মিল সমিতির সদস্য সংখ্যা অনুযায়ী সংগঠনটির কার্যকরী কমিটির সদস্য সংখ্যা ১২ জন নির্ধারিত ছিল কয়েক বছরে সদস্য সংখ্যা কমেছে সর্বশেষ নির্বাচনের আগে ভোটার তালিকায় সদস্য পাওয়া যায় মাত্র ৪৩ জন হিসাবে কমিটির কার্যকরী পরিষদ পাঁচজনে সীমিত থাকার কথা কিন্তু সম্প্রতি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ১২ জনকে নির্বাচিত করা হয়েছে এরপর আরো তিনজনকে যুক্ত করা হয়েছে, যা শ্রম আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নবনির্বাচিত কমিটির সভাপতি ফরিদ উদ্দিন আহমদ বণিক বার্তাকে বলেন, আগের কমিটি নির্বাচন আয়োজন করেছে আমরা নির্বাচিত কমিটির পক্ষ থেকে শ্রম অধিদপ্তরকে জানিয়েছি অধিদপ্তর অনুমোদন দেয়াসাপেক্ষে কার্যকরী কমিটি কার্যক্রম শুরু করবে নির্বাচনের আগে শ্রম অধিদপ্তরের অনুমতি না নিলেও এতে কোনো অনিয়ম হয়নি বলে দাবি করেন তিনি

শ্রম অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, কার্যকরী কমিটির সহসভাপতির পদ একটি হলেও নির্বাচনে দুজন সহসভাপতি নির্বাচন করা হয়েছে এছাড়া অতিরিক্ত একজন সহসাধারণ সম্পাদক ছাড়াও অতিরিক্ত একজন কার্যকরী সদস্য নির্বাচিত করা হয়েছে, যা শ্রম আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন

১০

");

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন