ইমরুল কায়েস ও চ্যাডউইক ওয়ালটনের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে বঙ্গবন্ধু বিপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে দারুণ জয় পেয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। এ দুজনের দারুণ ব্যাটিংয়ে সিলেট থান্ডারের দেয়া চ্যালেঞ্জিং স্কোর (১৬২/৪) সহজেই পার করে যায় বন্দর নগরীর দলটি।
আগে ব্যাট করা সিলেটকে এদিন স্বপ্ন দেখিয়েছিল মোহাম্মদ মিঠুনের বিধ্বংসী ব্যাটিং। কিন্তু দিন শেষে মিঠুনের ইনিংসটি সিলেটের জন্য কেবল সান্ত্বনা হয়েই থাকল। ১৬৩ রানের লক্ষ্য ৬ বল আগে ৫ উইকেট হাতে রেখেই পার হয়ে যায় চট্টগ্রাম।
গতকাল মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে লক্ষ্যটা একেবারে সহজ ছিল না চট্টগ্রামের জন্য। তাদের শুরুটাও ছিল নড়বড়ে। প্রথম তিন ওভারে আসে ১৮ রান। কিন্তু চতুর্থ ওভারে গিয়ে বড় ধাক্কা খায় চট্টগ্রাম। ওভারের শেষ দুই বলে চট্টগ্রামের দুই ব্যাটসম্যানকে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান নাজমুল ইসলাম অপু। প্রথম ৪ রান করা জুনায়েদকে ফেরত পাঠান নাভিন-উল-হকের ক্যাচ বানিয়ে। পরের বলেই কোনো রান না করে ফিরে যান নাসির হোসেন। দলীয় ২০ রানে ২ উইকেট হারিয়ে তখন চাপের মুখে চট্টগ্রাম। সোহাগ গাজীর পরের ওভারে অবশ্য দুই ছক্কা ও দুই চার মেরে কিছুটা চাপ সরিয়ে দেন আভিস্কা ফার্নান্দো। কিন্তু সেই আভিস্কাকে পরের ওভারে ফিরিয়ে ফের চট্টগ্রামকে ধাক্কা দেন স্যান্টোকি। ২৬ বলে ৩ চার ও ৩ ছয়ে ৩৩ রান করেন আভিস্কা। দলীয় ৬৪ রানে রায়ান বার্লকেও ফিরিয়ে দেন মোসাদ্দেক হোসেন।
এই চাপ থেকে দলকে উদ্ধারে লড়াইয়ে নামেন ইমরুল ও ওয়ালটন। দুজন মিলে দারুণ দৃঢ়তায় দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন। একপর্যায়ে দলকে জয়ের কাছাকাছি রেখে ফিরে যান ইমরুল। তখন জয় থেকে মাত্র ১৩ রান দূরে চট্টগ্রাম। দারুণ ব্যাটিংয়ে ৩৮ বলে ২ চার ও ৫ ছক্কায় ৬১ রান করেন ইমরুল। তবে নুরুল হাসানকে সঙ্গে নিয়ে জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন ওয়ালটন। ৩০ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৪৯ রান করে অপরাজিত থাকেন ওয়ালটন। ২৩ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন নাজমুল ইসলাম।