মানবাধিকার দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী

অপরাধী যে-ই হোক শাস্তি পেতে হবে

বণিক বার্তা ডেস্ক

মানবাধিকার রক্ষায় আইনের শাসন খুবই প্রয়োজনীয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা আইনের শাসন সমুন্নত রাখতে কাজ করে যাচ্ছি। অতএব অপরাধী যে- হোক না কেন তাকে শাস্তি পেতে হবে। রাজধানীর একটি হোটেলে গতকাল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন (এনএইচআরসি) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। খবর বাসস।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানবাধিকার নাগরিকদের দায়িত্ব সম্পর্কে দেশবাসীকে জানাতে হবে। কেননা অধিকার দায়িত্ব একে অন্যের পরিপূরক। একের দায়িত্ব অন্যের অধিকার। আবার একের অধিকার অন্যের দায়িত্ব। মানবাধিকার রক্ষায় অধিকার দায়িত্ব স্পষ্ট করতে সচেতনতামূলক প্রচারণার প্রয়োজন রয়েছে।

মানবাধিকার রক্ষায় এনএইচআরসি নাগরিকদের দায়িত্ব তাদের অধিকার সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, তার সরকার শ্রেণী পেশা নির্বিশেষে মানবাধিকার রক্ষায় বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। মানবাধিকার রক্ষার পাশাপাশি সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ, মাদক দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে। এসব অপরাধকে আমাদের দমন করতে হবে। কারণ অপরাধীরা সমাজকে ধ্বংস করে।

প্রতি বছর ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় মানবাধিকার দিবস পালন করে আসছে। ১৯৪৮ সালের এই দিনে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্র গৃহীত হয়। বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য মানবাধিকার সুরক্ষায় তারুণ্যের অভিযাত্রা

দিবসটি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আইন বিচার সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। এনএইচআরসির চেয়ারম্যান নাসিমা বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য . কামাল উদ্দিন আহমেদ জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি মিয়া সেপ্পো।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা সব মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচার সম্পন্ন করার মাধ্যমে আইনের শাসন বজায় রাখতে চাই। মানবাধিকার রক্ষার অর্থ কেবল লোকদের দৈহিকভাবে রক্ষা করা নয়, বরং তাদের মৌলিক অধিকারগুলোও পূরণ করা, যার জন্য তার সরকার কাজ করছে।

রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা মিয়ানমারের সঙ্গে কোনো সংঘাতে জড়াচ্ছি না, বরং আলোচনা হচ্ছে। কারণ তারা (মিয়ানমার) তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। মুক্তিযুদ্ধকালে আমাদের অনুরূপ অভিজ্ঞতা থাকায় মানবিক বিবেচনায় আমরা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছি।

১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারে অমানবিক নির্যাতনের মুখে রোহিঙ্গারা ব্যাপক হারে বাংলাদেশে আসে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশীদের যেমন

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন