পাট খাতে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ, মজুরি কমিশন বাস্তবায়ন, নিয়মিত মজুরি পরিশোধসহ ১১ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে চট্টগ্রামসহ খুলনা-যশোর অঞ্চলের রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলের শ্রমিকরা আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করছেন। গতকাল বেলা ২টা থেকে এ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল সিবিএ-ননসিবিএ সংগ্রাম পরিষদ আহূত ছয়দিনের কর্মসূচির শেষ দিনে এ কর্মসূচি শুরু করেছেন শ্রমিকরা।
রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল সিবিএ-ননসিবিএ সংগ্রাম পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মুরাদ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, শ্রমিকরা সকাল থেকে পাটকলে উৎপাদন স্বাভাবিক রাখেন। তারা বেলা ২টায় কাজ থেকে বের হয়ে নিজ নিজ পাটকলের উৎপাদন বন্ধ রেখে মিলগেটে অবস্থান নিয়ে অনশন শুরু করেন। খালিশপুর শিল্পাঞ্চলের চারটি জুট মিলের শ্রমিকরা ক্রিসেন্ট গেটে তৈরীকৃত অনশন মঞ্চে আসেন এবং অনশনে যোগ দেন।
তিনি আরো বলেন, এর আগে বিএনপি জোট সরকারের আমলে আন্দোলনে জসীমসহ শ্রমিকরা জীবন দিয়েছেন। এবার ন্যায্য দাবি আদায়ে জীবন দিতেও প্রস্তুত তারা। শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি আদায়ের আন্দোলন করে চাকরি হারিয়েছি। মামলা ও জেল খেটেছি। এবার জীবন উৎসর্গ করতে প্রস্তুত।
এদিকে চলমান কর্মসূচিতে বাংলাদেশ পাটকল শ্রমিক লীগের সম্পৃক্ততা না থাকলেও ১৫ ডিসেম্বর থেকে কর্মসূচি দেবে শ্রমিক লীগ। সব মিলিয়ে ফের অস্থিরতার দিকে যাচ্ছে দেশের পাট শিল্প।
জানা গেছে, আমরণ অনশন কর্মসূচি ঘোষণার পর বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের (বিজেএমসি) চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে পাট শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের নেতাদেরকে আলোচনার জন্য ডেকে পাঠানো হয়। গতকাল সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত দুই দফায় বৈঠক হলেও এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত পৌঁছতে পারেননি তারা। নতুন মজুরি কাঠামোসহ শ্রমিকদের ১১ দফা দাবি বাস্তবায়নে বিজেএমসির অপারগতাও জানিয়ে দেয়া হয় শ্রমিক নেতাদেরকে।
সংগ্রাম পরিষদের নেতা ও চট্টগ্রামের আমিন জুট মিলের সিবিএর সাধারণ সম্পাদক মো. মোস্তফা বণিক বার্তাকে বলেন, ঘোষণা অনুযায়ী সংগ্রাম পরিষদের আমরণ অনশন কর্মসূচি চলবে। বিজেএমসির পক্ষ থেকে আলোচনার জন্য ঢাকায় ডেকে নেয়া হলেও শ্রমিকদের দাবি বাস্তবায়নে অপারগতা জানিয়েছেন বিজেএমসি চেয়ারম্যান। এজন্য আন্দোলন বন্ধ রাখা কিংবা দাবি বাস্তবায়নে কোনো প্রতিশ্রুতি দিতে পারেননি