মৌলভীবাজারে সংযোগ সড়কহীন ‘পরিত্যক্ত’ দুই সেতু

দুর্ভোগে চার ইউনিয়নের মানুষ

বণিক বার্তা প্রতিনিধি মৌলভীবাজার

 মৌলভীবাজারের কুলাউড়া কমলগঞ্জে দুটি সেতুর সংযোগ সড়ক নেই দীর্ঘদিন ধরে এর মধ্যে কুলাউড়ার শ্রীকণ্ঠী বিল হাকালুকি গ্রামীণ সড়কে খালের ওপর নির্মিত সেতুর সংযোগ সড়ক ধসে যায় প্রায় দেড় যুগ আগে অন্যদিকে কমলগঞ্জের মাধবপুর-আদমপুর গ্রামীণ সড়কের ধলাই নদের ওপর নির্মিত সেতুটি ২০১৬ সালে উদ্বোধন করা হলেও এখন পর্যন্ত সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হয়নি অবস্থায় সেতু দুটি কার্যত পরিত্যক্ত পড়ে আছে

কুলাউড়ার কাদিপুর ভূকশিমইল ইউনিয়নের মানুষের চলাচলের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ সড়ক শ্রীকণ্ঠী বিল-হাকালুকি পথে চলাচলের পাশাপাশি পণ্য ফসল পরিবহন করে দুই ইউনিয়নের বড়দল, কাড়েরা ছকাপনসহ পাঁচ গ্রামের মানুষ সড়কের একটি বড় খাল পারাপার হতে ১৯৯৭ সালে সেতু নির্মাণ করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সেতু-কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ১০ মিটার দীর্ঘ সেতু নির্মাণে ব্যয় হয় সাড়ে লাখ টাকা কিন্তু কয়েক বছর পরই ধসে পড়ে সেতুটির সংযোগ সড়ক এরপর আর সড়ক নির্মাণ না করায় সেতুটি বর্তমানে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে

এলাকাবাসী জানান, পথ সেতু দিয়ে শুষ্ক মৌসুমে হাওরের ফসল পরিবহন করা হতো জেলেরা হাওড়ে মাছ ধরতে যেতেও পথ ব্যবহার করতেন কিন্তু সংযোগ সড়ক না থাকায় সেতুটি কোনো কাজে আসছে না

ছকাপন গ্রামের কৃষক আব্দুল মালিক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সংযোগ সড়কের অভাবে বছরের পর বছর সেতুটি ব্যবহার করা যাচ্ছে না কৃষিপণ্য গৃহপালিত পশু নিয়ে অনেক কষ্টে খাল পারাপার হতে হচ্ছে অথচ সংযোগ সড়ক থাকলে দুর্ভোগ থেকে রেহাই পেত দুই ইউনিয়নের পাঁচ গ্রামের অন্তত ১০ হাজার মানুষ

ভূকশিমইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান মনির বলেন, সংযোগ সড়ক সংস্কার কিংবা নতুন করে নির্মাণের জন্য এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে

বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. শিমুল আলী বলেন, টিআর কাবিখা প্রকল্পের আওতায় গ্রামীণ সড়কটি মেরামতের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে

এদিকে সংযোগ সড়ক না থাকায় ব্যবহার করা যাচ্ছে না কমলগঞ্জের মাধবপুর-আদমপুর সড়কের ধলাই নদের ওপর নির্মিত সেতুটি কোটি ২২ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতুটি নির্মাণ করা হয় ২০১২ সালে আদমপুরের ঘোড়ামারা মাধবপুরের শুকুর উল্লাগাঁওয়ের মধ্যবর্তী স্থানে ৯৬ মিটার দীর্ঘ

");

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন