ভারতের পেঁয়াজ সংকটের এখন-তখন

বণিক বার্তা ডেস্ক

ভারতের মতো শীর্ষ রফতানিকারক দেশের ভোক্তারাও এখন পেঁয়াজের লাগামহীন দামে নাকাল। পেঁয়াজের বাড়তি দাম বা ঝাঁজ কমাতে রফতানি বন্ধ, মজুদ সীমিতকরণ, বাজারে কঠোর নজরদারিও লাগাম টানতে ব্যর্থ হয়েছে। রীতিমতোরকেট গতিতে রেকর্ড ছাড়িয়েছে দেশটিতে মসলাজাতীয় পণ্যটির দাম। পেঁয়াজের এ লাগামহীন দাম নিয়ে অস্বস্তিতে আছে খোদ মোদি সরকার। শীর্ষ উৎপাদন এলাকায় অসময়ে ভারি বৃষ্টিপাতে আবাদ ব্যাহত হওয়ায় এ বছর দেশটিতে পেঁয়াজ সংকট দেখা দিয়েছে। তবে ভারতের পেঁয়াজ সংকট এবারই প্রথম নয়। এমনকি পেঁয়াজ নির্বাচনী হাতিয়ার হিসেবেও ব্যবহার হয়েছে দেশটিতে। ১৯৮০ সালের সাধারণ নির্বাচনের আগে পেঁয়াজের ঊর্ধ্বমুখী দামকে নিজের প্রচারণার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। ১৯৯৮ সালে দিল্লিতে সরকার গঠনে বিজেপির ব্যর্থতার অন্যতম কারণ হিসেবেও ধরা হয় পেঁয়াজের ঊর্ধ্বমুখী বাজারকে। এ সময় রাজস্থানের নির্বাচনের অন্যতম ইস্যু ছিল পেঁয়াজের বাড়তি দাম। ২০১০ সালে ভারতের অন্যতম উৎপাদন এলাকা মহারাষ্ট্রের নাসিকসহ অন্যান্য অঞ্চলে ভারি বৃষ্টিপাতে বাজারে পেঁয়াজ আসতে দেরি হয়। সংকট মোকাবেলায় এ সময় মনমোহন সিং সরকার রফতানি বন্ধ করে দেয়। পাশাপাশি আমদানি শুল্ক কমিয়ে দেয়াসহ পাকিস্তান থেকে পেঁয়াজ আমদানি করে সরকার। ২০১৩ ও ২০১৫ সালেও বিভিন্ন সময়ে ভারতে পেঁয়াজের বাজার চাঙ্গা হয়েছে। ২০১৫ সালে দিল্লিতে দাম কেজিপ্রতি ৮০ রুপি পর্যন্ত উঠে যায়। সে সময় পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে আমদানি করে বাজার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হয়। চলতি বছর সেপ্টেম্বর থেকে ভারতের বাজারে পেঁয়াজ সংকট শুরু হয়। সরবরাহ কম থাকায় দাম বাড়তে বাড়তে দিল্লিতে কেজিপ্রতি ১০০ রুপিও ছাড়িয়ে যায়। সংকট মোকাবেলায় এরই মধ্যে সরকার মিসর ও তুরস্ক থেকে পেঁয়াজ আমদানি করে বাজার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে।           সূত্র: ইকোনমিক টাইমস

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন