রফতানি মূল্য বাড়াতে রাবারের আবাদ কমাবে থাইল্যান্ড

বণিক বার্তা ডেস্ক

প্রাকৃতিক রাবারের রফতানি মূল্য বাড়াতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে থাইল্যান্ড। সম্প্রতি এ বিষয়ে একটি পরিকল্পনার অনুমোদন দিয়েছে দেশটির মন্ত্রিসভা। পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০ বছরের মধ্যে দেশটি পণ্যটির আবাদ ২১ শতাংশ কমিয়ে আনবে। আর এ সময়ের মধ্যে পণ্যটির রফতানি মূল্য তিন গুণ বেশি করতে চায় দেশটি। থাইল্যান্ড সরকারের একজন মুখপাত্র সম্প্রতি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। খবর রয়টার্স।

থাইল্যান্ড বিশ্বের শীর্ষ প্রাকৃতিক রাবার উৎপাদন ও রফতানিকারক দেশ। পণ্যটির বৈশ্বিক সরবরাহের ৪০ শতাংশের বেশি জোগান দেয় দেশটি। তবে দীর্ঘদিন বৈশ্বিক চাহিদায় মন্দা ভাবের জেরে পণ্যটির অব্যাহত দরপতনে কোণঠাসা হয়ে পড়ছেন থাই কৃষকরা। এ পরিস্থিতিতে বৈশ্বিক চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য বিধানে পণ্যটির উৎপাদন ও আবাদি জমি কমিয়ে রফতানি মূল্য বাড়াতে এ পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে দেশটি।

সরকারের মুখপাত্র রাচাডা ধানাডিরেক জানান, আন্তর্জাতিক বাজারে রাবারের দাম বৃদ্ধি ও কৃষকদের আয় টেকসই করার লক্ষ্যে থাই সরকার এ রূপরেখা এঁকেছেন। ২০৩৬ সালের মধ্যে দেশটি এ লক্ষ্য অর্জনের চেষ্টা করবে।

এ পরিকল্পনায় দেশটি প্রাকৃতিক রাবারের আবাদ কমিয়ে ২৯ লাখ ৪০ হাজার হেক্টরে নামিয়ে আনবে, যা ২০১৬ সালের তুলনায় ২১ শতাংশ কম। ওই সময়ে দেশটির ৩৭ লাখ ৩০ হাজার হেক্টর জায়গাজুড়ে পণ্যটির আবাদ হয়। এর মাধ্যমে দেশটি এ খাতে বার্ষিক আয় ৮২৮ কোটি মার্কিন ডলার থেকে বাড়িয়ে ২ হাজার ৬৫০ কোটি ডলারে উন্নীত করার প্রত্যাশা করছে। একই সঙ্গে হেক্টরপ্রতি ফলন ও আয় বৃদ্ধিসহ অভ্যন্তরীণ চাহিদায় চাঙ্গা ভাব ফেরানোর পরিকল্পনাও রয়েছে দেশটির।

থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া মিলে বৈশ্বিক রাবারের ৭০ শতাংশ উৎপাদন করে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ তিনটি নিয়ে গঠিত জোট ইন্টারন্যাশনাল ট্রাইপার্টিট রাবার কাউন্সিল (আইটিআরসি) পণ্যটির অব্যাহত দরপতন রোধে একটি চুক্তি করে। চুক্তির আওতায় চার মাসের জন্য পণ্যটি রফতানি কমিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় জোটটি, যা মে মাসের শেষ থেকে সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ কার্যকর ছিল। প্রাথমিকভাবে এ সময়ে ২ লাখ ৪০ হাজার টন রাবার রফতানি কমানোর সিদ্ধান্ত নিলেও শেষ পর্যন্ত ৪ লাখ ৪১ হাজার ৬৪৮ টন রফতানি কমাতে পেরেছে আইটিআরসি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন