বাড়ি যত সুন্দরভাবেই তৈরি করা হোক না কেন, ভালো রঙ ছাড়া ম্লান দেখায়। বাড়িকে আলোকিত করে তোলার উপায় হলো রঙ। বাড়ির ভেতরে যেকোনো রঙ করা গেলেও বাইরের দেয়ালে রঙ করতে চাইলে আবহাওয়া ও রঙের ধরনের বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। বাইরের দেয়ালে রঙ করার সবচেয়ে উপযোগী সময় হলো গ্রীষ্মকাল।
বাড়ির বাইরের এ রঙ বাছাই করা বাড়ির অন্যান্য আসবাব বা সদর দরজা বাছাইয়ের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ। কারণ বাড়ির বাইরের রঙ আপনার পরিবারের ঐতিহ্যের পাশাপাশি ব্যক্তিত্ব তুলে ধরে। বাড়ির বাইরের রঙ বাছাইয়ে আপনাকে সহায়তা করতে আমাদের আজকের আয়োজন...
সিল্কি আকাশি নীল
এটা প্রফুল্ল, শান্ত ও স্বাচ্ছন্দ্যময় একটি রঙ। আর সবাই নীলকে ভালোবাসে। এটা সমুদ্র ও আকাশের বিশালতাকে স্মরণ করিয়ে দেয় এবং আমাদের শান্ত হওয়ার জন্য ভারসাম্য এনে দেয়। এ রঙ আশপাশের পরিবেশকে আলোকিত করে তোলার ক্ষমতা রাখে। নীল রঙ বিশ্বাস, আনুগত্য, পরিচ্ছন্নতা এবং বোঝার অনুভূতি প্রকাশ করে। এ কারণেই বিশ্বের প্রায় ৫৩ শতাংশ পতাকায় নীল রঙ রয়েছে। প্রবাদে আছে, ‘আভিজাত্যের
রঙ নীল’। এছাড়া নীল রঙ শান্তি, শান্ত, স্থিতিশীলতা, সম্প্রীতি, একতা, বিশ্বাস, সত্য, আস্থা, রক্ষণশীলতা, নিরাপত্তা, পরিচ্ছন্নতা প্রভৃতি ভাব প্রকাশে ব্যবহূত হয়। তাই এ সিল্কি আকাশি নীল বাড়ির শান্ত ও আভিজাত্য ফুটিয়ে তোলে।
ওয়ার্ম গ্রিন
বনের মধ্যে একটি চকচকে, পড়ন্ত দিনের কথা মনে করিয়ে দেয়া এবং প্রাকৃতিক করে তোলার ক্ষেত্রে সবুজ রঙের জুড়ি মেলা ভার। কোনো কিছুর উন্নতি বা ক্রমবিকাশ প্রকাশ করতে সবুজ রঙ ব্যবহূত হয়। এছাড়া সবুজ মনের ভারসাম্য বজায় রাখে। তাই রঙটি অধিকাংশ সময় স্বাস্থ্যসেবায় মার্কেটিং কৌশল হিসেবে ব্যবহূত হয়। আপনি যদি নিজেকে অনুপ্রাণিত করার স্থান হিসেবে চান, তাহলে বাড়ির বাইরের জন্য ওয়ার্ম সবুজ উপযুক্ত পছন্দ হতে পারে। আর বাড়িকে যত প্রাকৃতিক করে তোলা যাবে, ততই স্বাচ্ছন্দ্য বেড়ে যাবে।
মাখন সাদা
উজ্জ্বল মাখন সাদা রঙ বাড়ির বাইরের দেয়ালের সেরা রঙ হিসেবে ব্যবহূত