এখনি প্রধানমন্ত্রিত্ব ছাড়তে চান না মাহাথির

বণিক বার্তা ডেস্ক

শরিক দল পিকেআরের নেতা আনোয়ার ইব্রাহিমের হাতে প্রধানমন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি থাকলেও এখনি দায়িত্ব ছাড়তে চান না মালয়েশিয়ার ক্যারিশমাটিক নেতা মাহাথির মোহাম্মদ। মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ কথা জানান তিনি।

৯৪ বছর বয়সী মাহাথির রয়টার্সকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, আগামী বছরের নভেম্বরে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অর্থনৈতিক সহযোগিতা সংস্থা এপেকের পরবর্তী সম্মেলনের আগে তিনি দায়িত্ব হস্তান্তর করবেন না।

মাহাথির বলেন, আমি দায়িত্ব হস্তান্তরের প্রতিশ্রুতি দিয়েছি এবং তা করবো। তবে এপেক সম্মেলনের আগে করলে গোলমাল বেঁধে যেতে পারে।

তিনি আরো বলেন, আমি জানি, আমি সরে দাঁড়াবো এবং তার (আনোয়ার) কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করবো। যদি জনগণ তাকে না চায় তাহলে সেটা তাদের ব্যাপার। তবে আমি আমার প্রতিশ্রুতি পূরণ করবো। আমি কোনো অঙ্গীকার করলে তা রাখি।

২০২০ সালের ডিসেম্বরে কী তবে ক্ষমতা হস্তান্তর করছেন- এ প্রশ্নের জবাবে বর্ষীয়ান এ রাজনীতিবিদ বলেন, যখন সময় হবে তখন দেখা যাবে।

মাহাথির মোহাম্মদ ও আনোয়ার ইব্রাহিম মালয়েশিয়ার দুই অভিজ্ঞ রাজনীতিক। তাদের মধ্যে গত কয়েক দশকের সম্পর্কের টানাপড়েন দেশটির রাজনীতিতে গভীর প্রভাব ফেলেছে। সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচনের আগে চরম শত্রু থেকে পরম মিত্রে পরিণত হন তারা। মাহাথিরের শাসনামলে দীর্ঘ কারাবাসের পর মুক্ত আনোয়ার ইব্রাহিম তারই নেতৃত্বে নির্বাচনে জয়লাভ করেন এবং জোট সরকার গঠন করেন।

১৯৮১ থেকে ২০০৩ পর্যন্ত টানা প্রায় ২২ বছর মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন মাহাথির। ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত মাহাথিরের সরকারে উপ-প্রধানমন্ত্রী ছিলেন আনোয়ার। দুর্নীতি ও সমকামিতার অভিযোগে ১৯৯৯ সালে দণ্ডিত হন তিনি। শুরু থেকে তাকেই মাহাথিরের উত্তরসূরি ভাবা হতো। জোট সরকার গঠন  করায় তা এখন প্রায় নিশ্চিত। মাহাথির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার আগে সে রকম কথাই ছিল।

তবে রয়টার্সকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, বয়স নিয়ে তিনি ততটা ভাবিত নন। বয়স হলেও এখনো ক্লান্তি বোধ নেই তার। শারীরিক ও মানসিক শক্তি নিয়ে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসীও। মাহাথির বলেন, আমি হালকা ব্যয়াম করি এবং আমার ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করি। গত ৩০ বা ৪০ বছর ধরেই আমার ওজন ৬২ কেজি। এটা পাল্টায় না। আমি অতিরিক্ত খাই না।

প্রথম নেতা হিসেবে দুবার এপেক সম্মেলনে নেতৃত্ব দেয়ার কথা ভাবছেন মাহাথির। এছাড়া মুসলিম বিশ্বের নেতা হিসেবেও তার অবস্থান পাকাপোক্ত করতে চাচ্ছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন