চাহিদার মৌসুমেও চায়ের দামে পতন

নিজস্ব প্রতিবেদক চট্টগ্রাম ব্যুরো

শীত মৌসুমে ভোক্তা পর্যায়ে চায়ের চাহিদা সাধারণত বেড়ে যায়। ঊর্ধ্বমুখী চাহিদার পরও কমছে চায়ের দাম। গত কয়েকটি নিলামে চায়ের দাম কমে কেজিপ্রতি ১৭০ টাকায় নেমে এসেছে। বাগানগুলোয় অতিরিক্ত চা উৎপাদনের কারণেই পণ্যটির দাম কমছে বলে জানিয়েছেন খাতসংশ্লিষ্টরা।

চা বোর্ডের নিলাম প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২৯তম নিলামে চায়ের গড় দাম ছিল কেজিপ্রতি ১৭২ টাকা। সর্বশেষ ৩০তম নিলামে দাম কমে ১৭০ টাকায় নেমে এসেছে। ২০১৮ সালের সমসাময়িক নিলামগুলোয় চায়ের কেজিপ্রতি গড় দাম ১৮০-১৯০ টাকার মধ্যে ছিল।

তথ্যমতে, সর্বশেষ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ৩০তম নিলামে ৮৫ হাজার ৮৪১ লটে ৪৭ লাখ হাজার ৭১৭ কেজি চা বিক্রির জন্য তোলা হয়। এর মধ্যে ৪০ লাখ ৩২ হাজার ৬৮৩ কেজি দানাদার লাখ ৭১ হাজার ৩৪ কেজি গুঁড়ো চা। যদিও ২০১৮ সালের একই নিলামে চা উত্তোলন হয়েছিল ২৮ লাখ ২৫ হাজার ৪৭ কেজি। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে একই নিলামে চা উত্তোলন বেড়েছে ১৯ লাখ কেজি। গত কয়েকটি নিলামেই আগের বছরের নিলামগুলোর তুলনায় ১৫-২৫ লাখ কেজি অতিরিক্ত চা সরবরাহ হয়েছে, যার প্রভাব পড়েছে দামে।

দেশের শীর্ষ ব্রোকার্স প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ব্রোকার্সের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক অঞ্জন দেব বর্মণ বলেন, লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি উৎপাদন হওয়ায় চায়ের দাম কমছে। মৌসুমের শেষ দিকে পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাতের কারণে শেষার্ধে ভালো মানের চা উৎপাদনও বেড়েছে। নিলামে গড় দাম কমলেও মৌসুমের শেষ দিকে ভালো মানের চায়ের সরবরাহ বেশি থাকায় চড়া দামে বিক্রি হয়েছে এসব চা।

চা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালে দেশে চা উৎপাদন হয়েছিল সাড়ে আট কোটি কেজি। ২০১৭ সালে দেশে চা উৎপাদন হয়েছিল প্রায় কোটি ৯০ লাখ কেজি। এরপর ২০১৮ সালে উৎপাদন ফের বেড়ে কোটি ২০ লাখ কেজিতে উন্নীত হয়। এর ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত ১০ মাসে উৎপাদন হয়েছে কোটি ৯০ লাখ কেজি চা। ২০১৭ ২০১৮ সালের শেষ দুই মাসে যথাক্রমে কোটি ৫৬ লাখ কোটি ৫৪ লাখ কেজি চা উৎপাদন হয়েছিল। মৌসুমের শেষ দিকে দেশজুড়ে টানা বৃষ্টিপাতের কারণে চা উৎপাদন বিগত বছরের শেষ দুই মাসের উৎপাদনকেও ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

চা বোর্ডের সর্বশেষ উৎপাদন প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, জুন থেকেই

");

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন