চলতি বছরের জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ থেকে শুরু হওয়া দরপতন থামছেই না। লেনদেন নেমে গেছে ৩০০ কোটি টাকার ঘরে। সর্বশেষ তিন কার্যদিবসে সাড়ে ৩ শতাংশের বেশি পয়েন্ট হারিয়েছে সূচক। ক্রমাগত দরপতনে বিনিয়োগকারীদের আস্থা তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। এমন অবস্থায় পুঁজিবাজার পরিস্থিতি নিয়ে গতকাল অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম খায়রুল হোসেন। বৈঠকে অর্থমন্ত্রী পুঁজিবাজারের উন্নয়নে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
গতকাল দিনভর বাজারে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বিএসইসির চেয়ারম্যানের বৈঠকের বিষয়টি আলোচিত ছিল। পুঁজিবাজারে আস্থা ফেরাতে কোনো ঘোষণা আসতে পারে বলেও গুঞ্জন ছিল। অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বিএসইসি চেয়ারম্যানের বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সাইফুর রহমান বণিক বার্তাকে বলেন, বাজারের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে তাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। অর্থমন্ত্রী সরকারের পক্ষ থেকে পুঁজিবাজারের উন্নয়নে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।
বাজার পরিস্থিতি নিয়ে অর্থমন্ত্রী ও গভর্নরের সঙ্গে বৈঠক করবে ডিএসইর পর্ষদ: এদিকে গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালনা পর্ষদের সভায় বাজার পরিস্থিতি নিয়ে অর্থমন্ত্রী ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে বৈঠকের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বৈঠকে পুঁজিবাজারসংক্রান্ত বেশকিছু সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা তুলে ডিএসইর পর্ষদ। এজন্য শিগগিরই বৈঠকের জন্য সময় চেয়ে অর্থমন্ত্রী ও গভর্নরের কাছে চিঠি পাঠাতে ডিএসইর ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে পর্ষদ। তাছাড়া গতকাল ডিএসইর পর্ষদ সভায় আলহাজ টেক্সটাইলের বিষয়ে বিনিয়োগকারীদের অভিযোগের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়টি দ্রুত খতিয়ে দেখতে ডিএসইর ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে পর্ষদ।
বাজার পর্যালোচনা: গতকাল ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় লেনদেন শুরু হলেও সেটি বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ওষুধ ও রসায়ন, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ এবং খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের মতো বড় মূলধনির শেয়ার বিক্রির প্রবণতা ছিল লক্ষণীয়। গতকাল দিন শেষে আগের কার্যদিবসের তুলনায় ৬২ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৫৩৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে ডিএসই ব্রড ইনডেক্স ডিএসইএক্স, যা ৩৯ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। ২০১৬ সালের ৩১ আগস্ট ডিএসইএক্স ছিল ৪ হাজার ৫২৬ পয়েন্টে।
ডিএসইর প্রধান সূচকের পাশাপাশি শরিয়াহ্ সূচক ডিএসইএসও কমেছে। দিনের ব্যবধানে ১৯ পয়েন্ট কমে গতকাল ১ হাজার ২২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে সূচকটি, আগের কার্যদিবসে যা ছিল ১ হাজার ৪১ পয়েন্টে। ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ গতকাল ২১ পয়েন্ট কমে দিন শেষে ১ হাজার ৫৬২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, আগের কার্যদিবসে যা ছিল ১ হাজার ৫৮৩ পয়েন্টে।
গতকাল ডিএসইতে সূচক কমার পাশাপাশি দৈনিক গড় লেনদেনও কমেছে। এক্সচেঞ্জটিতে গতকাল ২৭৫ কোটি টাকার সিকিউরিটিজ হাত বদল হয়, আগের কার্যদিবসে যা ছিল ৩৪৯ কোটি টাকায়। ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৫৩টি কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড ও করপোরেট বন্ডের মধ্যে দিন শেষে দর বেড়েছে ৬৭টির, কমেছে ২৩৩টির আর অপরিবর্তিত ছিল ৫৩টি সিকিউরিটিজের বাজারদর।
খাতভিত্তিক লেনদেন চিত্রে দেখা যায়, ডিএসইর লেনদেনের মোট ১৩ শতাংশ দখলে নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে ওষুধ ও রসায়ন এব
