অবস্থানগত দিক দিয়ে বেশ গুরুত্বপূর্ণ দিনাজপুরের বিরামপুর রেলস্টেশন। ঢাকা, রাজশাহী ও খুলনা যেতে আন্তঃনগর ট্রেনের জন্য এ স্টেশনে আসতে হয় আশপাশের আরো তিন উপজেলার মানুষকে। কিন্তু এসব গন্তব্যের জন্য স্টেশনটিতে যে পরিমাণ আসন বরাদ্দ রয়েছে, তা প্রয়োজনের তুলনায় অর্ধেক। ফলে আসন পেতে এখানে দিন দিন যাত্রীদের ভোগান্তি বাড়ছেই।
বিরামপুর উপজেলার ১২ কিলোমিটার পূর্বে নবাবগঞ্জ, ১৪ কিলোমিটার দক্ষিণে হাকিমপুর ও হিলি স্থলবন্দর এবং ৪৬ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে ঘোড়াঘাট উপজেলার অবস্থান। এর মধ্যে নবাবগঞ্জ ও ঘোড়াঘাটে কোনো রেলস্টেশন নেই। হিলিতে রেলস্টেশন থাকলেও সেখানে আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতি দেয়া হয় না। এ অবস্থায় এসব উপজেলার ট্রেনযাত্রীদের, বিশেষ করে আন্তঃনগর ট্রেনের জন্য বিরামপুর রেলস্টেশনে আসতে হয়।
সংশ্লিষ্টদের দাবি, এ স্টেশন থেকে ঢাকা, রাজশাহী ও খুলনাগামী সাতটি ট্রেনে প্রতিদিন আসনের চাহিদা রয়েছে অন্তত ৫০০টি। কিন্তু এর বিপরীতে আসনের বরাদ্দ আছে সব মিলিয়ে ২৪১টি। ফলে দীর্ঘদিন ধরে বিরামপুর রেলস্টেশনে আন্তঃনগর ট্রেনের আসন বরাদ্দ বৃদ্ধির জন্য আবেদন করা হলেও উল্টো তা কমানো হয়েছে।
বিরামপুর রেলস্টেশনের বুকিং কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এখানে ঢাকাগামী নীলসাগর, একতা ও দ্রুতযান,
রাজশাহীগামী বরেন্দ্র ও তিতুমীর এক্সপ্রেস এবং খুলনাগামী সীমান্ত ও রূপসা এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রাবিরতি দেয়া হয়। এর মধ্যে নীলসাগর, একতা ও দ্রুতযান ট্রেনে শুধু ঢাকার জন্যই আসন বরাদ্দ রয়েছে। মাঝখানের বাকি নয়টি স্টেশনের জন্য কোনো বরাদ্দ নেই। নীলসাগর ট্রেনে আসন বরাদ্দ রয়েছে শোভন শ্রেণীতে ২৫টি ও এসি চেয়ারে মাত্র দুটি। অন্যদিকে একতা ও দ্রুতযান এক্সপ্রেসেও শোভন শ্রেণীতে ২৫টি করে আসন বরাদ্দ আছে। এসি বা স্লিপার কোচে কোনো আসন বরাদ্দ নেই।
এদিকে বিরামপুর-খুলনা পর্যন্ত ১৬টি স্টেশনে যাত্রাবিরতি রয়েছে খুলনাগামী সীমান্ত ও রূপসা এক্সপ্রেসের। কিন্তু সীমান্ত এক্সপ্রেসে শুধু খুলনার জন্য শোভন শ্রেণীতে ২০টি আসন বরাদ্দ আছে। আর রূপসা এক্সপ্রেসে খুলনার জন্য আসন রয়েছে শোভন শ্রেণীতে ২০টি ও মাঝখানের বাকি স্টেশনের জন্য ২০টি।
এছাড়া বিরামপুর-রাজশাহী বরেন্দ্র ও তিতুমীর এক্সপ্রেসের যাত্রাবিরতি রয়েছে নয়টি স্টেশনে। কিন্তু এর মধ্যে বরেন্দ্র এক্সপ্রেসে রাজশাহীর জন্য ৪০টি, নাটোরের জন্য ১০টি ও সান্তাহারের জন্য ১০টি আসন বরাদ্দ আছে। অন্যদিকে তিতুমীর এক্সপ্রেসে রাজশাহীর জন্য ২১টি ও অন্য স্টেশনের জন্য বরাদ্দ আছে ২৩ সিট।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিরামপুর রেলস্টেশনের এক কর্মচারী বলেন, এ স্টেশনে বিভিন্ন গন্তব্যে ট্রেনের টিকিটের বেশ চাহিদা রয়েছে। কিন্তু চাহিদা অনুযায়ী যাত্রীদের টিকিট দেয়া যাচ্ছে না। তিনি আরো বলেন, দ্রুতযান এক্সপ্রেসে আগে এখানে ৩৪টি আসন বরাদ্দ ছিল। কিন্তু বর্তমানে ট্রেনটিতে সেই বরাদ্দ কমিয়ে ২৫টি করা হয়েছে।
বিরামপুর রেলস্টেশনের বুকিং সহকারী মো. মোর্শেদুল ইসলাম বলেন, এ স্টেশনের জন্য বর্তমানে প্রতিদিন ঢাকা ও খুলনাগামী আন্তঃনগর ট্রেনের জন্য আরো অন্তত ৫০টি শোভন চেয়ারের আসন প্রয়োজন। এছাড়া ১০টি এসি চেয়ার ও স্লিপার আসন প্রয়োজন অন্তত পাঁচটি। আর রাজশাহীগামী বরেন্দ্র ও তিতুমীর এক্সপ্রেসের জন্য আরো কমপক্ষে ২০টি আসন বরাদ্দ করা প্রয়োজন। তবে এতেও সব যাত্রীর আসন চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হবে কিনা সন্দেহ।
বিরামপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খায়রুল আলম বলেন, বিরামপুর চারটি উপজেলার কেন্দ্রে অবস্থিত। ফলে এ স্টেশনে যাত্রীদের বেশ চাপ থাকে। কিন্তু সে অনুযায়ী আসন না থাকায় অন্তত চার উপজেলার যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
হাকিমপুর উপজেলা চেয়ারম্যান ও হিলি স্থলবন্দর আমদানি রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশীদ হারুন
- রাজশাহীতে তিনজনসহ সড়কে প্রাণ গেল ছয়জনের
- পঞ্চগড়ে পাম নদের গতিপথ পরিবর্তন করে পুকুর খনন
- মাদারীপুরে নিয়ন্ত্রণে আসছে না মাংসের বাজার
- যশোরে এক গ্রামেই জেলা পরিষদের যত প্রকল্প
- পাবনায় ২৪২ টন ভারতীয় চিনি জব্দ
- লিভার সংক্রমণে প্রতি বছর ১৪ লাখ মানুষ মারা যায় —ডা. মোহাম্মদ ইজাজুল হক