যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ ব্যাংক ল্যাহমান ব্রাদার্স বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে ২০০৮ সালে যে বৈশ্বিক মহামন্দা দেখা দিয়েছিল, সে রকম আরেকটি বড় আর্থিক সংকটের সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। আরব স্ট্র্যাটেজি ফোরাম ও গুড জাজমেন্টের এক প্রতিবেদনে এমনটা দাবি করা হয়। খবর রয়টার্স।
সাম্প্রতিক মাসগুলোয় বেশকিছু নেতিবাচক ইঙ্গিত সত্ত্বেও মহামন্দার মতো বিপর্যয়ের মুখোমুখি হচ্ছে না বৈশ্বিক অর্থনীতি। পূর্বাভাসদানকারী প্রতিষ্ঠান গুড জাজমেন্টের সঙ্গে যৌথভাবে প্রস্তুত এ প্রতিবেদনে আরব স্ট্র্যাটেজি ফোরাম বলছে, আগামী দশকে ২০০৮ সালের আর্থিক সংকটের মতো এ রকম কোনো সংকট এড়ানোর সম্ভাবনা ৭৬ শতাংশ। কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো তাদের উন্নত প্রযুক্তিগত সক্ষমতা ও সংকটপূর্ণ পরিস্থিতিতে খাপ খাইয়ে নেয়ার ক্ষমতার কারণে বড় কোনো আর্থিক সংকটে পড়বে না বৈশ্বিক অর্থনীতি।
আরব স্ট্র্যাটেজি ফোরামের সভাপতি ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) ভবিষ্যৎ বিষয়কমন্ত্রী মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল গেরগাওই বলেন, আজকের দুনিয়ার সব গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর রয়েছে প্রতিবেদনটিতে। আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নীতিনির্ধারণে এ গবেষণা প্রতিবেদনটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এটা আজকের নীতিনির্ধারকদের সহায়তায় আসবে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে উন্নতি ও অগ্রগতির দিকে এগিয়ে নিতে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেবে।
১১টি বৃহৎ প্রবণতা (মেগা-ট্রেন্ড) আগামী দশকে কী রকম ভূমিকা পালন করবে, তার ভিত্তিতে প্রতিবেদনটিতে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। যদিও বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) সাম্প্রতিক সময়ে বেশ চাপের মধ্যে রয়েছে। তবে চীন, রাশিয়া বা জি৭ ভুক্ত কোনো সদস্য রাষ্ট্র জোট থেকে বেরিয়ে আসবে এ রকম সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছে তারা। জোট থেকে বেরিয়ে এলে লাভের চেয়ে দীর্ঘমেয়াদে লোকসানে পড়বে দেশগুলো।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব যে কিছুটা কমবে, সে বিষয়টিও উঠে এসেছে প্রতিবেদনে। আগামী দশকে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতি থাকার সম্ভাবনা ৬৫ শতাংশ। চীন যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে শীর্ষ অর্থনীতি হওয়ার সম্ভাবনা ৩৩ শতাংশ।
আগামী দশকে তেল রফতানিকারক দেশগুলোর জোট ওপেকের ভূমিকা কিছুটা কমবে। তবে কার্বনমুক্ত বিশ্বে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে পারবে বলেও প্রতিবেদনটিতে দাবি করা হয়।