জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক সেমিনার

উপকূলজুড়ে সবুজ বেষ্টনী গড়ে তোলার তাগিদ

নিজস্ব প্রতিবেদক

ফণি, বুলবুলের মতো ঘূর্ণিঝড়ের কবল থেকে রক্ষা জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় উপকূলজুড়ে সবুজ বেষ্টনী গড়ে তোলার তাগিদ দিয়েছেন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। হোম মিডিয়া ল্যান্ডমার্ক পাবলিকেশন অ্যান্ড প্রডাকশন হাউজের আয়োজনে জলবায়ু পরিবর্তনে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় করণীয় শীর্ষক এক সেমিনারে আলোচনাকালে বিষয়টির ওপর জোর দিয়ে বক্তব্য রাখেন তারা।

রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আয়োজিত সেমিনারের উদ্বোধন করেন বন, পরিবেশ জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন এমপি। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী . কে আব্দুল মোমেন এবং সভাপতিত্ব করেন পিকেএসএফের চেয়ারম্যান . কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ। সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অর্থনীতিবিদ গবেষক . আহমদ আল-কবির, হোম মিডিয়ার চেয়ারম্যান মোল্লা আতাউর রহমান মিন্টু, ব্যবস্থাপনা পরিচালক লায়ন মো. রেজাউল হক টিটু প্রমুখ।

মো. শাহাব উদ্দিন এমপি বলেন, জলবায়ু পরির্তনের ফলে আমরা যে বাস্তবতার মুখোমুখি অবস্থান করছি, তাতে এখনই চারপাশে সবুজ বনাঞ্চল তৈরি করতে না পারলে আমাদের অস্তিত্ব বিলীন হবে। উপকূলে যেভাবে একের পর এক ঘূর্ণিঝড় আঘাত আনছে, তাতে সুন্দরবন না থাকলে আমাদের আরো ক্ষতি হতো। সবুজায়নের উপলব্ধি থেকে সরকার এবার এক কোটি গাছ লাগানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় প্রথম দেশ হিসেবে সংসদে আমরা প্লানেটরি ইমার্জেন্সি সলিউশন প্রস্তাব পাস করেছি। আগামী জানুয়ারিতে ঢাকায় চালু হবে সাব-রিজিওনাল অ্যাডাপ্টেশন সেন্টার। সাধ্যমতো ক্ষতির পরিমাণ কমানোর মাধ্যমে আমরা জলবায়ুর অভিঘাত মোকাবেলায় মডেল হতে চাই।

অনুষ্ঠানে নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে দেশের উপকূলীয় এলাকায় ব্যাপক বনায়নের মাধ্যমে সবুজ বেষ্টনী তৈরির প্রস্তাব করা হলে তাতে সবাই সম্মতি জ্ঞাপন করেন। প্রসঙ্গে . কাজী খলীকুজ্জমান বলেন, আমাদের কাজ অভিযোজনের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করা। গ্রিন হাউজ গ্যাস কমানোর দায়িত্ব আমাদের না। তবে সবুজায়নের কাজটি দ্রুততার সঙ্গে করতে হবে। নীতিমালাও আছে, এখন প্রয়োজন সেটার বাস্তবায়ন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন