তাপমাত্রা কমতে থাকায় উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে ঠাণ্ডাজনিত রোগের প্রকোপ বেড়েছে। এতে হাসপাতালে রোগী বাড়ায় দেখা দিয়েছে শয্যা সংকট। বিশেষ করে শিশুর ঠাণ্ডাজনিত রোগ ও হাসপাতালে উপচে পড়া ভিড়ের কারণে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে অভিভাবকদের। এ অবস্থায় চিকিৎসা নিতে এসে সদর হাসপাতালে মারা গেছে তিন শিশু।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঠাকুরগাঁওয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের কোনো পর্যবেক্ষণাগার নেই। এ কারণে জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় না। আশপাশের জেলা দিয়েই ঠাকুরগাঁওয়ে তাপমাত্রা বিবেচনা করা হয়। গতকাল পার্শ্ববর্তী জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা ছিল দেশের সর্বনিম্ন।
সূত্র জানায়, শীত বেড়ে যাওয়ায় কয়েকদিন ধরেই জেলায় ঠাণ্ডাজনিত রোগের প্রকোপ বেড়েছে। ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন অসুখে হাসপাতালে ছুটছে মানুষ। এতে হঠাৎ রোগীর চাপ বাড়ায় দেখা দিয়েছে শয্যা সংকট।
সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, ১০০ শয্যার এ হাসপাতালে বর্তমানে দ্বিগুণের বেশি রোগী ভর্তি আছে। এর মধ্যে ১৮ শয্যার শিশু ওয়ার্ডে গতকাল ৮৬ জন রোগী ভর্তি ছিল। শয্যা সংকটে রোগীদের বারান্দা ও মেঝেতে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। আর বহির্বিভাগে প্রতিদিন ৭০০ থেকে ৮০০ রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে। তাদের বেশির ভাগই ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত। এসব রোগে আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা তিন নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে।
সদর উপজেলার আকচা থেকে আসা সোলেমান আলী নামের এক অভিভাবক জানান, শীতের কারণে শিশুদের নিয়ে আমার মতো আরো অনেকে দু-থেকে তিন ধরে হাসপাতালে আছেন। বেড না পেয়ে মেঝেতে থাকতে হচ্ছে। আবার মেঝেতে শীত বেশি হওয়ায় শিশুদের কষ্টও বেশি হয়। কোনো কোনো বিছানায় দুই-তিন শিশু ও অভিভাবক গাদাগাদি করে থাকছেন। এ অবস্থায় শিশুদের নিয়ে থাকতে খুব কষ্ট হচ্ছে।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মো. শাহাজাহান নেওয়াজ জানান, শুধু ঠাকুরগাঁও নয়, পঞ্চগড় ও দিনাজপুরের কিছু অংশের রোগীরা এখানে এসে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ফলে শয্যা সংকট দেখা দেয়ায় হাসপাতালের বারান্দায় থেকে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, শীত বেড়ে যাওয়ায় গত দুই-তিনদিন শিশু ওয়ার্ডে শতাধিক রোগী ভর্তি ছিল। গতকাল ভর্তি ছিল ৮৬ জন। আর গত ২৪ ঘণ্টায় তিন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তবে তাদের শ্বাসকষ্ট ও ওজন কম ছিল। হাসপাতালে সময়মতো না