যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় মার্কিন নৌবাহিনীর ঘাঁটিতে বন্দুকধারীর হামলায় অন্তত তিনজন নিহত ও আটজন আহত হয়েছেন। ওই বন্দুকধারীও প্রতিরক্ষা বাহিনীর ছোড়া গুলিতে নিহত হয়েছেন। হামলা চালানো বন্দুকধারী সৌদি আরবের নাগরিক এবং তিনি ওই ঘাঁটিতে প্রশিক্ষণ নিতে এসেছিলেন বলে মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। খবর রয়টার্স।
হামলার পর পরই সৌদি সরকার এ হামলার নিন্দা জানিয়েছে এবং হামলার সঙ্গে জঙ্গিবাদের কোনো সম্পর্ক রয়েছে কিনা তা খুঁজে বের করতে যুক্তরাষ্ট্র তদন্ত শুরু করেছে।
শুক্রবার সকালে পেনসাকোলা নাভাল এয়ার স্টেশনের একটি শ্রেণীকক্ষে এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এস্কাম্বিয়া কাউন্টি শেরিফ ডেভিড মরগান এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, তার একজন ডেপুটির গুলিতে ওই হামলাকারী মারা গেছে। এ ঘটনায় শেরিফের দুই ডেপুটি আহত হয়েছেন। তাদের একজন বাহুতে, অন্যজন হাঁটুতে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তবে দুজনই আশঙ্কামুক্ত বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। হামলায় বন্দুকধারী হ্যান্ডগান ব্যবহার করেছিলেন বলে শেরিফের কার্যালয় নিশ্চিত করেছে।
উল্লেখ্য, মাত্র দিনকয়েক আগে হাওয়াইয়ের পার্ল হারবার সামরিক ঘাঁটিতে মার্কিন নৌবাহিনীর এক নাবিকের গুলিতে দুই বেসামরিক নিহত ও একজন আহত হন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ফ্লোরিডার মার্কিন নৌঘাঁটিতে হামলা চালানো বন্দুকধারী সৌদি আরবের নাগরিক এবং তিনি ওই ঘাঁটিতে প্রশিক্ষণ নিতে এসেছিলেন। হামলাকারীর নাম মোহাম্মদ সাইদ আল শামরানি, তিনি সৌদি বিমান বাহিনীর সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট।
ব্যাপ্টিস্ট হাসপাতালের মুখপাত্র ক্যাথি বোয়ারস জানিয়েছেন, আহত আটজনকে চিকিৎসার জন্য তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা শিগগিরই সেরে উঠবেন বলে তারা আশা করছেন।
আলাবামা রাজ্যের সীমান্তবর্তী ফ্লোরিডার এ ঘাঁটি যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর প্রধান প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোর একটি। মার্কিন নৌবাহিনীর অ্যারোবেটিক ফ্লাইট ডেমোনেস্ট্রেশন স্কোয়াড্রন ‘দ্য ব্লু অ্যাঞ্জেলস’র কার্যক্রমও এ ঘাঁটিতে। এখানে ১৬ হাজারের বেশি সামরিক এবং ৭ হাজার ৪০০ বেসামরিক কর্মী নিয়োজিত রয়েছেন।
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, নৌঘাঁটিতে হামলার ঘটনার পর পরই সৌদি বাদশা সালমান তাকে ফোন করে দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং আক্রান্তদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, হামলাকারী কোনো অবস্থাতেই সৌদি জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে না বলে জানিয়েছেন বাদশা সালমান।
ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডেয়ান্তেজ জানিয়েছেন, সৌদি সেনাবাহিনী সংশ্লিষ্ট একটি নৌ প্রশিক্ষণ প্রকল্পের আওতায় ওই হামলাকারী প্রশিক্ষণ নিতে এসেছিল। তিনি বলেন, সৌদি আরবের উচিত ভুক্তভোগীদের জন্য ভালো কিছু করা। আমি মনে